সিলেট৭১নিউজ:: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড। সভায় উপস্থিত থাকতে সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় সময় পেছাতে পারে বলেও তারা মনে করেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড-সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাদেশের বোর্ড চেয়ারম্যানরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন। বৈঠক থেকে পরীক্ষার প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এই বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহ নাগাদ এই পরীক্ষা হতে পারে। তবে, বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।’
সূত্র জানায়, তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সরকার। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতিও নিয়েছে বোর্ডগুলো।
শিক্ষাবোর্ডগুলো বলছে, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া না গেলে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাও আনুপাতিক হারে পেছাতে হবে। কারণ এই পরীক্ষার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ও জড়িত। আর যতবেশি পরীক্ষা পেছাবে, ততবেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিও বিলম্বিত হবে। বাড়বে সেশনজটও। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললেও এই বছরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
এই বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এখন কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। তাই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে, প্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মাঝে প্রথম কোনো সরাসরি সভায় বসছেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা। সভার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। এবার জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে উন্নীত হবে, সে ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, আগে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা ছিল। তবে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বেঞ্চে একজন করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে। যেকোনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি রয়েছে।