ডেস্ক : সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা বেশিরভাগই পচা। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন রোববার সকালে দেখা গেছে, শিবগঞ্জের আড়তগুলোতে ফ্যান দিয়ে পেয়াঁজে বাতাস দেয়া হচ্ছে।
এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
শিবগঞ্জের পেয়াঁজ আড়তদার আজিজুল হক ও তাজিমুল হক জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের মধ্যে প্রায় ৩০ ভাগই নষ্ট।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সঙ্গনিরোধ কীটতত্ত্ববিদ অফিসের কর্মকর্তা তারেক ও পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
তারা আরও জানান, ভারতের ওপারে মহদীপুর স্থলবন্দরে আটকেপড়া পেঁয়াজের গাড়িগুলো পরবর্তী এলসিতে আসার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়া ও পেঁয়াজ পচে যাওয়ার কারণে গাড়িগুলো ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। এখনও বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান বাবু জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির বিপরীতে আটকেপড়া মহদীপুর স্থলবন্দরে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রায় ২৪০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
মহদীপুর স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভূপতি মণ্ডল জানান, অনুমতি না পাওয়ায় ও পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার কারণে প্রায় ৩০০ ট্রাক এরই মধ্যে ফেরত গেছে।