সুনামগঞ্জ : নেত্রকোনার গুমাই নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় সুনামগঞ্জের ৯ জনের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার ইনাতনগর গ্রামের নারী ও শিশুসহ ৭ জন ও উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ২ জন এবং নেত্রকোনা জেলার মেদনী ইউনিয়নের মেদনী গ্রামের একজন রয়েছেন।
এর আগে বুধবার নেত্রকোনা জেলার গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেলে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রলার ডুবিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি কলমাকান্দা হয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বরখাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম সংলগ্ন গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের আব্দুল ছায়েদের স্ত্রী মাজেদা আক্তার জাবেদা (৫৫), আলমগীর মিয়ার ছেলে অনিক আহমেদ জনি (৬), আব্দুল ওহাবের স্ত্রী ও শিশু সন্তান লৎফুরনাহার (২৬), রাকিবুল হাসান (৩), হাবিকুল মিয়ার স্ত্রী ও শিশু সন্তান লাকি আক্তার (৩০), টুম্পা আক্তার (৭), পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সুলতান মিয়া (৪৫), একই গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মোজাহিদ (৫) এবং নেত্রকোনা জেলার মেদনী ইউনিয়নের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা (৫০)।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা থানা পুলিশ ও মধ্যনগর থানা পুলিশের সহায়তায় নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই ৯ জনের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দাফন কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে আরও মরদেহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে তাই উদ্ধার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে।