ডেস্ক : দুর্বৃত্তের হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের শারীরিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন নিউরো সায়েন্স ইন্সটিটিউট হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান ডা. জাহেদ হোসেন। গতকাল শনিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আলোচনায় বসেছে মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্যসহ বৈঠকে উপস্থিত আছেন হাসপাতালের পরিচালক।
চিকিৎসকরা জানান, ওয়াহিদা খানমের চেতনা মাত্রা ১৫ তে ১৫, যা সুস্থ মানুষের সমান। অন্যান্য শারীরিক পরিস্থিতিও উন্নত হচ্ছে দ্রুত। শনিবার সকালে মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে এসব কথা বলেন চিকিৎসকরা। ড. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, নতুন করে কোন সংক্রমণ না হলে দ্রুতই সুস্থ হবেন ওয়াহিদা খানম। সংক্রমণ রোধে রোগীর আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীদের সাক্ষাৎ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে কর্মকর্তাকে দেখতে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আপাতত তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দরকার নেই, তবে সংক্রমণের শঙ্কা আছে।
ওয়াহিদা খানমের হামলার বিষয়ে বিকাল ৩টায় প্রেসব্রিফিং করবেন এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের মধ্যে ৩৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত বুধবার রাতে বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন। এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে তার বাসভবনের সামনে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। ঘোড়াঘাট উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোজিনা পারভিন জানান, ইউএনও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পিসি ও অপর তিনজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।