দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুরে ভূমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন গুরতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ আগষ্ট রোববার সকালে উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীরামপুরে।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন, পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে ফয়ছল হোসেন (২৪), জিয়াউল করিম কয়েছ (৩৫), প্রতিবেশী খালেদ আহমদ (১৮)। আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।r
এ ঘটনায় পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১১)। আসামীরা হচ্ছেন পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে আব্দুস শহীদ হান্নান মিয়া (৫৫), আব্দুস শহীদ হান্নান মিয়ার ছেলে হোসেন আহমদ (২৪), ছায়েম আহমদ (২২), কামাল মিয়ার ছেলে মামুন আহমদ (২৪), মৃত আব্দুল মোস্তফার ছেলে কামাল মিয়া (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট রোববার সকাল পৌনে ৮টায় বাদী ইকবাল হোসেন বাড়ির পুকুর পাড়ে লাগানো গাছের চারায় বাশেঁর বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় আসামী আব্দুস শহীদ হান্নান মিয়া দেশীয় অস্র নিয়ে বেড়া দিতে নিষেধ দেয় ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আব্দুস শহীদ ইকবাল হোসেনকে প্রাণে মারার জন্য সঙ্গীয়দের হুকুম করে। এসময় আসামিরা দেশীয় অস্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে বাদী ইকবাল হোসেনকে ঘেরাও করে তাকে মারতে থাকে। তাদের হামলায় ইকবাল চিৎকার করতে থাকলে তার বড় ভাই জিয়াউল করিম কয়েছ আহমদ, ছোট ভাই ফয়ছল হোসেন ও প্রতিবেশী খালেদ এগিয়ে আসলে আসামি হোসেন আহমদ তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে কয়েছকে কুপিয়ে গুরতর আহত করে। এসময় আসামীদের দেশীয় অস্রের হামলায় ফয়ছল ও খালেদ মারাত্বক রকতাক্ত আহত হন। তাদের আতœচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্হলে এসে তাদেরকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। আহতরা ওসমানীতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আসামীরা এবার মামলার বাদী ইকবাল হোসেনের অসুস্ত বৃদ্ধা মা আসমা বেগমকে ঘরে একা পেয়ে প্রবেশ করে মারদর করে এবং তাদের বসতঘরে হামলা করে। তাদের হামলায় ইকবাল হোসেনের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। ঘরের ক্ষতির পাশাপাশি হামলাকারীরা ইকবাল হোসেনদের কার গাড়ি ভাংচুর করে। এতে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলাকারীরা এসময় ঘর থেকে স্বর্নালংকারসহ নগদ ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল এবং বসতবাড়ির দলিল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন মামলা দায়েরের পর গত ১৯ আগষ্ট বুধবার মোগলাবাজার থানা পুলিশ মামলার ১ নং আসামি আব্দুস শহীদ হান্নানকে আটক করে।
মোগলাবাজার থানার ওসি ছাহাবুল ইসলাম জানান হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।