স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বৃষ্টিপ্রবণ চেরাপুঞ্জির পাদদেশ থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাত না কমলে বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার শঙ্কা রয়েছে। প্রধান দুটি নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ ছোটবড় সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোও পানিতে ভরপুর। নিম্নাঞ্চলে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নদীর তীরবর্তী বাসাবাড়ি ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে ডাউকি নদীর প্রবল ¯্রােতে নদীর তীরবর্তী এলাকার কয়েক জায়গায় ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে মাসের শেষদিকে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। মৌসুমি বায়ু এখনও দেশের ওপর সক্রিয়। তাই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
এদিকে, পানি বেড়েছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সীমান্ত নদী ধলাই, সারী এবং পিয়াইনেরও। এ কারণে দূ-ক‚ল উপচে হু হু করে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে।
কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পয়েন্টে এ নদীর পানির প্রবাহ পরিমাপ করা হয়। রোববার সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ৯৬ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পরে সকাল ৯টায় ১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে দুপুর ১২টায় ৮ দশমিক ৯৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো এ নদীর পানি। এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।