ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চার মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামীকাল বুধবার থেকে হাইকোর্টে শুরু হচ্ছে শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত বিচারকাজ। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চেও বিচারকাজ চলবে। এ জন্য ১৮টি হাইকোর্ট বেঞ্চকে শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ৩৫টি বেঞ্চকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অনুমোদনক্রমে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে ৫৩টি নিয়মিত ও ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরমধ্যে ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের মধ্যে ২৪টি দ্বৈত ও ১১টি একক বেঞ্চ রয়েছে। আর ১৮টি সশরীরি বেঞ্চের মধ্যে ১৩টি দ্বৈত ও ৫টি একক বেঞ্চ রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব আদালতে নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরে আইন সংশোধন করে ১১ মে থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হলেও তাতে শুধুমাত্র জামিন ও জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা হয়। ফলে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দেয়। কারণ চার মাসে ভার্চুয়াল আদালতে রায় হয়নি একটিও।
গত ৫ আগস্ট থেকে ভার্চুয়াল আদালতের পরিবর্তে অধস্তন আদালতে আগের নিয়মেই (সশরীরে) স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু করা হয়। পরদিন উচ্চ আদালতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল ফুল কোর্ট সভা। ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল সোমবার ভার্চুয়াল ও সশরীরি হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিচালনার জন্য এই বেঞ্চ গঠন করা হয়।
এদিকে, ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই আপাতত বিচারকাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে।