ডেস্ক :: পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ভিডি চিত্র নির্মাণ সহকারী বরগুনার বামনার সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। গতকালের এই মানববন্ধনে লাঠিচার্জ করে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী তালুকদার। এসময় তিনি থানার এক এএসআইকে থাপ্পর মারেন। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কদন্ত কমিটি করেছে জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন তদন্ত কমিটি।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে জেলার আমতলী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সৈয়দ রবিউল ইসলাম এবং পুলিশ অফিসের ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মো. সোহেল আহমেদকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির দাবি, পুরো ঘটনারই তদন্ত করছেন তারা। ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যেই গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। আজ রবিবার সকালে তাঁরা বরগুনার বামনা উপজেলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অন্যদিকে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন স্থানীয় কতিপয় শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও একটি প্রভাবশালী মহল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বলেন, আমি মানষিকভাবে খুব হতাশায় ভুগছি। পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে চরম লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি। তাই এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না।
তদন্ত কমিটির প্রধান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সিফাতের মুক্তির দাবির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি কাজ করছে। আগামি তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও তিনি জানান।
সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ