সিলেট৭১নিউজ: আমাদের মুব্বরী, কথাসাহিতিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও কলম সৈনিক আকাদ্দস সিরাজল ইসলামের ২০তম মৃত্যুবাষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা গ্রামে ১৯২২ সালে ২২ নভেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। ছিলেন বিয়ানীবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি এবং বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি।
তার নাম শুনেছি অনেকের কাছে, কিন্তু উনাকে নিয়ে বিশদভাবে জানতে পেরেছি আমাদের কুমারপাড়ার বড় দাদা এ এইচ সাদত খান সাহেব কে নিয়ে কিছু তথ্য কালেকশন করতে গিয়ে।
সাদত খান দাদার একাত্তরের সহকর্মী ছিলেন আকাদ্দাস সিরাজুল ইসলাম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের করিমগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্তবাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।
আকাদ্দাস সিরাজুল ইসলাম সাহেবের অনেক গুণের মধ্যে অন্যতম গুণ উনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর তথা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক।
উল্লেখ্য সিলেট-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জনার নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেব এর সরাসরি শিক্ষক ছিলেন আকাদ্দাস সিরাজুল ইসলাম।
সাধারন জীবনের অধিকারী ও সাদামনের মানুষ ছিলেন, লোভ-লালসা, চিত্ত-বিত্তের ছোঁয়া তাঁকে আঁচ করতে পারেনি জীবনদশায়।
১৯৯৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ত্যাগী রাজনৈতিক নেতার স্বীকৃতি স্বরূপ সংবর্ধনা এবং সম্মাননা পদক গ্রহন করেন।
২০০০ সালের আজকের এইদিনে তিনি সবাই কে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
উনার লেখা অনেক বইয়ের মাধ্যমে অনেকদিন বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে।
লেখক:রাজনৈতিক কর্মী