আজ পবিত্র হজ। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ভিন্ন এক বাস্তবতায় হজ পালিত হচ্ছে। সংক্রমণের আশংকায় সীমিত সংখ্যক মুসল্লি হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনে ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে আরাফাত ময়দানে জড়ো হচ্ছেন হাজীরা। দুপুরে, আরাফাতে মসজিদে নিমরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি।
হজের আনুষ্ঠানিকতার সবই আছে, কেবল নেই লাখো মুসল্লি’র অংশগ্রহণ। ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে লাব্বাইক ধ্বনিতে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন মুসল্লিরা।
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক মুসল্লি এবার হজ পালন করছেন। ফজরের নামাজ আদায় করে তারা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে জড়ো হচ্ছেন।
আরাফাত ময়দানে মসজিদে নিমরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি। এবারই প্রথম আরবি ভাষায় দেয়া খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার হবে।
খুতবার পর এখানেই এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। সুর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে আবারো এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রাতে অবস্থান করবেন মুজদালিফার খোলা মাঠে। পর দিন শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারবেন ও সাধ্যমত পশু কোরবানী করবেন। এজন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে হাজীদের, যা সরবরাহ করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ফজর নামাজ শেষে, আবারো মিনায় ফিরবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ পর্যায়ক্রমে চারটি আহকাম পালন করবেন তারা। ইসলামী শরীয়া অনুযায়ি প্রতিবছর হজের সময় জিলহজ মাসের নবম তারিখে বদলানো হয় কাবা শরীফের গিলাফ। কাবা শরীফ ও মসজিদে হারামাইনের কাস্টোডিয়ান সৌদি বাদশাহর প্রতিনিধিরা কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তনের অংশ নেন।