সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে তিন দফা ভয়াবহ বন্যায় আমনের বীজতলাসহ চারার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় পচে নষ্ট হয়েছে বীজতলা। ভরা মৌসুমে আমন ধান রোপণের সময় হলেও চারা সঙ্কটে আছেন অমন চাষীরা।
এদিকে সরকারি বেসরকারিভাবে বীজ সংগ্রহ করতে পারলেও নতুন করে চারা রোপণের জায়গাটিও পানিতে ডুবে থাকায় চারা বপন করা সম্ভব হচ্ছেনা। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের হিসাব মোতাবেক জেলার ৫৯ হেক্টর জমির বীজের চারা নষ্ট হয়েছে। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার বীজ নষ্ট হওয়ায় জেলার কৃষকরা প্রায় সর্বশ্বান্ত। চরম দু:শ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন আমন চাষীদের। কোথায় পাবেন বীজ, কোথায় পাবেন টাকা, বন্যার পানি নামবে কবে এমনি ভাবনায় জেলার কৃষকরা। সদর উপজেলার লক্ষনশ্রী ইউনিয়নের হবতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, বন্যার পানিতে চারা গাছ নষ্ট হওয়ায় মহাজনের নিকট থেকে ঋণ করে ১৮শত টাকা মন দরে আবার বীজ সংগ্রহ করেছি কিন্তু পানি না নামায় বীজ বপন করতে পাছিনা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘমারা গ্রামের কৃষক জমির আলী বলেন, আমন ধানের চারা নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে গেছি। খাবার যোগাড় করতে হলে ধান চাষ করতে হবে অন্য কোন উপায়ও নেই, কিন্তু আবার বীজ কেনার টাকা নেই।
এ বিষয়ে কৃষক লীগ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আহŸায়ক আব্দুল কাদির শান্তি মিয়া বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ হতে বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিদর্শন করে দেখেছি কৃষকদের ভয়াবহ ক্ষতির দৃশ্য। আমাদের সরকার কৃষিবান্ধব সরকার, সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই কৃষকদের স্বার্থে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ স¤পাদক শাহজান কবির বলেন, সুনামগঞ্জে আমন চাষীদের জন্য বীজতলার এই ক্ষতি স্মরণকালের বড় ধরনে ক্ষতি, কৃষকরা যাতে সময়মত বীজতলা পুনরায় প্রস্তুত করতে পারেন সে জন্য আমন চাষীদের দ্রæত বিনামূল্যে সার ও বীজ ধান সরবরাহ এবং নগদ আর্থিক সহযোগিতার আওতায় আনার জোর দাবী জানাই।