ছাতক :: ছাতক উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে ৮ কাগজে প্রকল্প আছে, মাঠে নেই।তার বিরুদ্ধে ১৫লাখ ৩০হাজার আত্নসাত ও লুটপাটের অভিযোগ গত মঙ্গরবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার,দুর্নীতি দমন সিলেটস্থল অফিসে বরাবরে ইউনিয়নবাসি পক্ষে নিজাম উদ্দিন সহ ৫৫জন ব্যক্তি স্বাক্ষরে ১২টি গ্রামে সাধারন মানুষ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ দায়ের করেছে। এ অভিযোগ দায়েরের এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ ও ছাতক উপজেলাজুড়েই চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছৈলাআফজলাবাদ, শেখপাড়া, বাসনাকান্দি, ব্রাক্ষনঝুলিয়া, কহলা, শরীষপুর, ছৈলা, নোয়াপাড়া, শ্রীনগর, শিবনগর, রামপুর, ভুগলী, রানারশি পুর, লক্ষীনারায়নপুরসহ ১২টি গ্রামবাসি চেয়ারম্রান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে ৫৫জন ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছৈলাআফজলাবাদ কুনাবাড়ি থেকে মইন পুর রাস্তা মাটি ভরাট ২লাখ ৫০হাজার,গতুরা নদী থেকে মইনপুর বাজার বেড়ি বাধে প্রকল্পের ৫লাখ, বাংলাবাজার ভবন উন্নয়নে ৫লাখ, বাগইন প্রাথমিক বিদ্যালয় সামন থেকে ঢালা মেরামত নামে ২লাখ ৮০হাজার সহ প্রায় ১৫লাখ ৩০হাজার টাকা আত্নসাত ও লুটপাট করা অভিযোগ করেন তারা।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে এই তালিকায় অসহায়-হতদরিদ্রের বঞ্চিত করে ওয়ার্ডের বিত্তবান, রাজনৈতিক নেতা, তার বন্ধু-বান্ধব, ও তার আত্মীয়-স্বজনের নাম দিয়েছেন সরকার দলীয় ক্ষমতার টাপটে।
এছাড়াও রাধানগর (২৩৮)আব্দুল মালিকের স্ত্রী মালা বেগম, (৩২৬)শিবনগর গ্রামের জবান আলীর পুত্র উকিল আলী নামে ভুয়া কার্ড ও (২৫২ -৩৪৩)রাধানগর গ্রামে স্বামী ওয়াজিদ আলীর স্ত্রী রুপমালা নামে ২টি কার্ড ইস্যু করেছেন। রয়েছেন একই পরিবারের একাধিক সদস্যও!২৫শ টাকা করে ৫০ লাখ সুবিধা বঞ্চিত মানুষের তালিকা প্রনয়ন করবে সরকার। সেখানে দেখা গেছে ছৈলা আফজলাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য শেখ নোয়াব আলীর তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে।
এলাকাবাসি লোকজন জানান (৫৬৪) ক্রমিক রহুল আমিন পিতা হারিছ আলী (লাউয়া হারিছ) (৫৬৭) ক্রমিক হারিছ আলী পিতা লতিফ উল্লাহ উভয়ই এক পরিবারের পিতা পুত্র,৫২১ নং মিজানুর রহমান লাল ৫৪২ ক্রমিক মুহিবুর রহমান দুদু উভয়ের পিতা মৃত উস্তার আলী। লাকেশ্ব বাজারে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মুহিবুর রহমান দুদুকে গরীব বানিয়েছেন।৫৫৪ ক্রমিক মাওলানা আব্দুস সালাম পিতা মৃত ইর্শাদ আলী ৫৬১ ক্রমিকে দুধ বিবি স্বামী মৃত ইর্শাদ আলীর উভয়ই মা- ছেলে ও (৫৭৯) ক্রমিক আব্দুল মতিন পিতা আবুল কালাম (৫৮০) ক্রমিক আবুল কালাম পিতা মৃত আছদ্দর আলী উভয একই পরিবারের পিতা পুত্র পেয়েছেন। (৫৫২)ক্রমিক আব্দুর রহিম মনাই (৫৫৩) ক্রমিক আব্দুল করিম ধনাই উভয়র পিতা এরশাদ আলী একই পরিবারের সদস্য দু’জন পেয়েছে। ৫৩৬ ক্রমিক আসদ আলী পিতা ছবর আলী ৬০ বছর দেখিয়ে শ্রমিক বানিয়েছেন এবং(৫৪১)ক্রমিকে বিদেশ ফেরত আব্দুল খালিক পিতা হানিফ উল্লাহ কে শ্রমিক দেখিয়েছেন তৈরিকৃত তালিকায়। (৫৮৭)ক্রমিক একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খোশতেরা বেগম স্বামী আব্দুর রহিম দফাদার কে। যা শর্তমোতাবেক বিধি যোগ্য নয়। ৫২৫ ক্রমিক শাহানারা বেগম স্বামী আবুল কিয়াস (৫১৮)ক্রমিক আব্দুল গফুর পিতা সুরুজআলী। আব্দুল গফুর ও আবুল কিয়াস উভয়ই মেম্বারের আপন চাচাত্ব ভাই। আবুল কিয়াস ১০কেজি টাকার চাউলের কার্ড রয়েছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ তার নিজের আত্মীয় স্বজন, শশুড়বাড়ীর লোকজনের নাম ও একই পরিবারে একাধিক নাম, তারা কোটিপতিদের নাম তালিকায় করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষ বাদ দেন। তার তৈরি তালিকায় রয়েছে ৩ নং ক্রমিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয় মঈন উদ্দিন, ৫ নং ক্রমিকে বাবুল মিয়া, ৭ ও ৯ নং ক্রমিকে ফারুক মিয়া, নুর মিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা, ১৪ নং ক্রমিকে সেলিনা বেগম ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালিকা ২০নং ক্রমিকে আমিরুন নেছা (নিকট আত্মীয়), ৪৪ নং ক্রমিকে ফয়জুল হক ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালক নাম ও আছে।
গত বছর ইউপি চেয়ারম্যানে শ্যালিকা বড়পলিরগাঁও গ্রামের সেলিনা বেগম, ভাতিজা লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের নুর মিয়াকে পৃথক দুটি সরকারী ঘর বরাদ্ধ করেন।
এছাড়া সরকারী ৮ টি সোলার প্যানেল তার বাড়ীর রাস্তাায় স্থাপন করেছেন বলে এলাকাবাসি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ জানান.তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে একটি মহল তার জনপ্রিয়তা দেখে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেন।
এব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার অফিসে যোগাযোগ করলে নাম না প্রকাশে শর্তে অভিযোগ প্রাপ্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তদন্ত পুবক আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।