সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ২৫ নং ওয়ার্ডে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির লাশ দাফন কাজ সম্পন্ন করেছে কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির সেচ্ছাসেবী নেতৃবৃন্দ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে। মৃত ব্যক্তির দাফনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। এই আতংক দূর করতে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সমিতির পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ৩০ জুন মঙ্গলবার রাতে
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিসিকে’র ২৫ নং ওয়ার্ডের বারখলা নিবাসী দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ফটো সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর লিটনের পিতা,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (অব:)সার্জেন্ট এম.এ মোছাব্বির। ৩১ জুলাই বুধবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রথম দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির সেচ্ছাসেবীরা। দাফন কাজে দ্বায়িত্ব পালন করেন কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক এজাজ উদ্দীন আহমদ সানি,
সাংগঠনি সম্পাদক তায়েফ আহমদ,নির্বাহী সদস্য আসাদ উদ্দীন এপলু,সমাজ সেবা সম্পাদক জাকির আহমদ,
ক্রীড়া সম্পাদক সাকিব আহমদ,সদস্য মাও আব্দস সামাদ,জাহেদ আহমদ,কায়েস্থরাইল জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন শাহিন আহমদ,সার্বিক তত্ত্বাবাধনে ছিলেন
সমিতির সভাপতি সভাপতি জহির হোসেন রাসেল,
সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক। আলাপকালে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজাজ উদ্দীন আহমদ সানি জানান,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ জুন কায়েস্থরাইলের আতিকুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি মারা যান,কিন্তুু দাফন কাজে অংশগ্রহনের জন্য প্রয়োজন নিরাপত্তা সামগ্রী আমাদের ছিলনা তাই আমরা মৃত্যু বরনকারী পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারিনি। পরে আমরা দাফন কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করি।যোগাযোগ মাধ্যমে সমিতির পক্ষ থেকে দাফন কাজ সম্পন্ন করব প্রচার প্রচারণা করি,এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি শুনে সমিতির প্রবাসী উপদেষ্টাবৃন্দ দাফন কাজের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী আমাদেরকে প্রদান করেন। এই প্রথম আমরা মরহুম এম.এ মোছাব্বির এর দাফন কাজ সম্পন্ন করি। তিনি জানান সিলেট নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে করোনায় মৃত্যু বরনকারী ব্যক্তিদের দাফন কাজ সম্পন্ন করবে কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।