নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের নালী খালের ওপর নির্মিত সরকারি সেতুটি ওই এলাকার বাসিন্দা আজাদ মিয়া কর্তৃক দখলে নিয়ে ষাঁড় গরু বেঁধে রাখার কারণে যাতায়াত সমস্যায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের লোকজন। সরকারি সেতু দখলে নিয়ে লোকজনদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্ঠিকারীর কবল থেকে সরকারি সেতুটি উদ্ধার সহ জনসাধারণকে নিরাপদে যাতায়াত এবং বিঘ্ন সৃষ্ঠিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত রবিবার (২১ জুন) বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে মিরাজ মিয়া সহ এলাকার বিপুল সংখ্যক ভূক্তভোগী জনসাধারণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া এলাকার উশৃংখল লোক হিসেবে পরিচিত।তার অন্যায় অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে ত্রান দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের নালী খালের ওপর সেতু নির্মিত হয়। ফলে আশপাশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত সমস্যায় উপকৃত হন। সেতুটি নির্মাণের পর পাঁয়ে হেঁটে লোকজন যাতায়াত করলেও দীর্ঘদিন ধরে আজাদ মিয়া তার পালিত বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেতুর ওপর বেধেঁ রাখার কারণে ভয়ে সেতু দিয়ে শিশু কিশোর সহ সকল বয়েসী নারী পুরুষরা যাতায়াত থেকে বিরত রয়েছেন। স্থানীয় ব্যাক্তিগন সেতুর উপর ষাঁড় গরু বেঁধে না রাখার জন্য আজাদ মিয়াকে জানানো হলে এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে
প্রতিবাদকারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও তার বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু সেতুর ওপর বেঁধ রাখছে। ফলে ওই সেতু দিয়ে জনসাধারণ যাতায়াত থেকে বিরত রয়েছেন। জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবির্ধাতে এলাকার কতিপয় উশৃংখল আজাদ মিয়ার কবল থেকে সরকারি সেতুটি উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়,সরকারি সেতু দিয়ে জনসাধারণের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্ঠির বিষয়ে আবেদন দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।