অতিথি প্রতিবেদক:: সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে সরকারী ত্রান বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন জেদ্দা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুল আলম। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা রামপাশা ইউনিয়নের নওধার মাঝপাড়া গ্রামের শওকত আলী’র পুত্র। এব্যাপারে আহত যুবলীগ নেতা সামছুল আলম ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেদ্দা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুল আলম বাংলাদেশে ছুটিতে আসার পর করোনা কোভিড-১৯ এর কারণে জেদ্দায় ফেরত যেতে না পেরে বর্তমানে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে কাজ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ফজর আলীকে প্রণোদনার টাকা ও সরকারী ত্রাণ বিতরণে এলাকার অসহায়, গরীব মানুষের নাম না আসায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর কোন সদুত্তর না পাওয়ায় সামছুল আলম এসব অসহায় জনসাধারণকে নিয়ে বিশ্বনাথের টিএন্ডটি রোডে গত ২৬ মে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। প্রতিবাদ সভা শেষে রাত ৮ঘটিকার সময় টিএন্ডটি রোড থেকে সিএনজি যোগে বাড়ীতে আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে ইউ/পি সদস্য ফজর আলী, আজাদ আলী, আমিনুল ইসলাম, মঈনুল ইসলাম, আছদ্দর সহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা সিএনজি আটকিয়ে সামছুল ইসলামকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে। এতে সামছুল আলম অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। সামছুল আলম চিকিৎসা গ্রহণ শেষে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনকে বিষয়টি অবহিত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা আলাপকালে বলেন, এব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে ডিউটি অফিসার রুবিনা আক্তার গত ৪ জুন একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।