দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের মিরেচকে উপজেলা চেয়ারম্যান এর বরাদ্ধকৃত এডিপির রাস্তা নির্মাণে ‘‘রডের বদলে বাঁশ’’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সেলিনা বেগম। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে জানান,দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ এর বরাদ্ধকৃত এডিপি প্রকল্পে লালাবাজার ইউনিয়নের মিরেরচকে অনুমোদিত ২২৩ ফুট রাস্তা সিসি ঢালাই কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসেবে সেলিনা বেগম গতকাল ২জুন মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তা নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান।সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান,তিনি যাওয়ার আগে গ্রামবাসী রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কাজ শুরুর মুহুর্তে কর্মরত শ্রমিকরা সিসি ঢালাইয়ের প্রথমে কিছু জায়গায় বাঁশ দিয়ে দেয়। তিনি সেখানে গিয়ে তা উত্তোলন করে ফেলেন এবং বাদবাকি কাজ নিজের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করেন। এসময় সেখানে সেলিনা বেগম ছাড়াও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগেরসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন,প্রকল্পের সেক্রেটারী আবু বক্কর সহ গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কাজ শুরুর মুহুর্তে বাঁশ দেয়ার ছবিটি কে পুঁজি করে একটি মহল বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার শুরু করে। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহবুবুর রহমান,লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল,উপজেলা প্রকৌশলী আফছর আহমদ ও সহকারী রফিকুল হক ঘটনাস্থলে যান। এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পুরো রাস্তার কাজ তদারকি করে বাদবাকি কাজ সমাপ্ত করেন। এতে তারা কোন অনিয়ম কিংবা সিসি ঢালাইয়ে রডের বদলে বাশ দেখতে পাননি। প্রকল্পের চাহিদা পত্রে সিসি ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে রডের কোন উল্লেখ্য থাকেনা। সেই হিসেবে এই সিসি ঢালাইয়ে রড কিংবা বাশ দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। উক্ত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুচক্রি মহল সিসি ঢালাইয়ে রডের বদলে বাশ নামে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি এ রকম সংবাদ প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।