এসবিএন ডেস্ক: সারা দেশে হঠাৎ করে জঙ্গি তত্পরতা বেড়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যেসব জঙ্গি সদস্য ধরা পড়ছে তাদের অনেকের বাড়ি সিলেটে। সিলেটে বসেই তারা বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে- এমন দাবি করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সিলেটে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কা করছে পুলিশও। জঙ্গি তত্পরতা রোধে সিলেটে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। জানা গেছে, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েক মাসে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সিলেটের বাসিন্দা কয়েকজন রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আনিসুজ্জামানকে হুমকিদাতা জকিগঞ্জের একটি মাদরাসার সাবেক শিক্ষক আইটি বিশেষজ্ঞ আবদুল হক ওরফে আবদুল হ্যাক, ব্লগার অনন্ত হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া কানাইঘাটের মান্নান রাহী ওরফে মান্নান এহিয়া, ব্লগার অভিজিত্ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ায় বসবাসকারী শফিউর রহমান ফারাবি, ফেসবুকে জঙ্গি তত্পরতা চালানোর অভিযোগে আটক নগরীর কলবাখানির কাজী বাপ্পী।
সিলেটে বসবাসকারী আফগান ফেরত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জঙ্গি তত্পরতার অভিযোগ ওঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব মুজাহিদদেরও রাখা হয়েছে কড়া নজরদাড়িতে। এদিকে, সিলেটে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের উত্থান ও অপতত্পরতা ঠেকাতে গতকাল পুলিশ লাইন মিলনায়তনে পুলিশ কর্মকর্তারা আলেম মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান সিলেটে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সিলেটে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার নানা তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। জঙ্গিদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মাজার সংলগ্ন মসজিদ, শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ, ওয়াজ মাহফিল ও জুমার নামাজের জামাতে হামলা। কিন্তু জঙ্গি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জঙ্গিবাদ মোকাবিলা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ কারো একার সমস্যা নয়। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ-জনতা সম্মিলিত চেষ্টায় জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।