সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার ও স্থানীয়দের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এক লন্ডন প্রবাসী যিনি পূর্বে প্রবাসী ট্রাস্টের সাথে জড়িত ছিলেন,তিনি নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারের পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠছে। এর প্রেক্ষিতে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের নির্বাচিত সভাপতি আহমেদ জাকারিয়া জামি,সাধারণ সম্পাদক আছাদুর রহমান ও অর্থসম্পাদক হাফিজুর রহমান মিনু এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন,২০১৬ সালের ১১ মে সিলেট তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে ১ম প্রবাসী সংগঠন হিসেবে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন সময়ে কিছু সমাজ হিতৈষী প্রবাসীদের দ্বারা ট্রাস্টের যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো তা আজও অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৪ বছরে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যেসমস্ত মানবকল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়ন করেছে তা ইউনিয়নের ইতিহাসে বিরল। এর একমাত্র কৃতিত্ব দাউদপুর ইউনিয়নের সকল প্রবাসীদের;এর গর্বিত অংশীদার সচেতন দাউদপুর ইউনিয়নবাসী। সম্প্রতি লন্ডন প্রবাসী আবুল হোসেন নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা হচ্ছে, যা নিতান্তই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্খিত। এ প্রসঙ্গে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের সুষ্পষ্ট বক্তব্য হলো-
সম্প্রতি একটি নারী নির্যাতন মামলায় লন্ডন প্রবাসী ইলাইগঞ্জ নিবাসী গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের সভাপতি নয়। ট্রাস্টের ১ম সভাপতি হিসেবে আবুল হোসেনের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হয়। এরপর যথারীতি নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব হলে আবুল হোসেন সহ গুটি কয়েক স্বার্থবাদী লোক নির্বাচন নিয়ে ঢালবাহানা শুরু করে। হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপে তৎকালীন সভাপতি আবুল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতার ফলে উনার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। অধিকাংশ সদস্যদের ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হলে আবুল হোসেন গ্রুপ থেকে ল্যাপ্ট মেরে চলে যান;সাথে ট্রাস্টের ফান্ড প্রায় ৪ লক্ষ টাকা সহ গুটি কয়েক লোক চলে যান। পরবর্তীতে তারা আইন, নিয়ম-নীতি কিংবা সামাজিক রীতির তোয়াক্কা না করে নিজে নিজে সভাপতি দাবী করে উনার অনুসারী হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের নাম ব্যবহার করতে থাকেন। এদিকে,দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যথারীতি অনলাইন নির্বাচনের মাধ্যমে নিম্নোক্ত কমিটি নির্বাচিত করে ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে,যেখানে ৯৭ জন প্রবাসী সরাসরি অনলাইনে ভোট প্রদান করেন। ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন অনলাইন সংগঠনে প্রতিনিধি যথাক্রমে সেলিম উদ্দিন,আব্দুল মজিদ লাল মিয়া,ইসলাম উদ্দিন,নাসির উদ্দিন,আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ আলী প্রমূখ নির্বাচনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরবর্তীতে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে ইংল্যান্ডে একটি সালিশী কমিটি গঠন করা হয় এবং তারা আবুল হোসেন গং-দের সাথে যোগাযোগ করে ট্রাস্টের অর্থ ফেরত এবং নাম ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেন;এই উদ্যোগে কয়েকবার আবুল হোসেন গংদের বৈঠকে আনার চেষ্টা চালানো হলেও তাদের খামখেয়ালিপনা ও একগুয়েমি এবং স্বার্থের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাদের এহেন আচরণে সালিশি ব্যক্তিবর্গ অনেকটাই বিব্রত এবং অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমতাবস্থায়,বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনার কারণে আমরা বিস্তারিত ঘটনা এবং আমাদের অবস্থান ইউনিয়নবাসীর কাছে তুলে ধরেছি। আমরা কাউকে জুলুম করতে চাই না;কারো প্রতি অন্যায় কিংবা কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে চাই না। কেউ অন্যায় করলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে;কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার প্রপাগান্ডা হলেও তা প্রচলিত আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ট্রাস্টের ভবিষ্যত পথচলায় এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ পুণরুদ্ধারে ইউনিয়নবাসী ট্রাস্টের সাথে থাকবেন।