মা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু মা তোমাকে অলওয়েজ যেন হ্যাপি রাখতে পারি এইটাই চাই।মা দিবসে আম্মুর কথাই লিখছি আম্মুর হাসিমুখের জন্য আমার মা সেরা মা।মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম একটি নাম। মা এর চেয়ে সহজ গভীর কোন অনুভূতি নেই। মা মানেই পরিপূর্ণ ভালোবাসার অনন্যতা,কোথাও কোন কমতি না রাখা। যার ভালোবাসা সবসময় ১০/১০।মায়ের প্রতি ভালোবাসাও অটুট থাকুক বছরের প্রতিটি দিন।যে ঘটনা আম্মুকে কোনো দিনই বলিনি আম্মুকে নিয়ে লেখার শুরুতে কেন জানি না ছোট্টবেলার এই স্মৃতিটি ফিরে এল। হ্যাঁ আম্মুকে নিয়ে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার জন্য খুব কষ্টের খানিক টা অসাধ্যও বটে। আমাদের জীবনে আম্মু এত প্রাত্যহিক এবং নিবিড় বিষয় যে তাঁকে নিয়ে আলাদা করে কিছু লিখতে গেলে দুদণ্ড ভাবতে হয় ।ছোটবেলায় আমি প্রচণ্ড ডানপিটে ও দুষ্টু ছিলাম। সেই দুষ্টুমির জন্য শাসন করার একমাত্র মানুষ ছিলেন আমার মা। বাবা আমাকে খুব বেশি শাসন করতেন না। ফলে আমার বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গে তা হয়নি। বলা যায় ওই সময়ে আমার মায়ের প্রতি একটু রাগ হতো। এমনও হয়েছে মায়ের জ্বর হলে আমি খুশি হতাম।এটার কারণ হলো মা শুয়ে থাকলে আমি অনায়াসে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে পারতাম।মায়ের সঙ্গে মতের মিলের অভাবের কারণে প্রায়শই বিরক্ত থাকতাম কখনো রাগ করতাম। এখন সেসব রাগ কিচ্ছু নেই বরং এখন টের পাই আম্মু আমার জীবনে প্রাণশক্তি।আম্মু ভালো বললে সাহসী হই সামনে এগোই সত্যি বলতে। প্রতিটি ধাপেই ছিল আম্মুর অনুপ্রেরণা আজকের মোঃ ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার হয়ে ওঠার পেছনে আম্মুর অবদান সবচেয়ে বেশি।জীবনে যত বাধাই এসেছে,সেগুলো উতরাতে পেরেছি আম্মুর জন্যই। তাই এই জীবনে আম্মুর হাসিমুখই আমার পরম পাওয়া।আমার আম্মু কে ঘিরে আমার যাপিত জীবনের যাবতীয় ছন্দময়তা,যাঁর অনুপম জীবনদর্শন আমার চেতনায় ও মননে লালিত তিনি আমার আম্মু,আমার মহীয়সী জননী।আমার আম্মু আমার অহংকার।তবে আম্মার প্রতি মুগ্ধতা ছোটবেলার তিনিই আমার বড় অনুপ্রেরণা। বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় দেখতাম, নানাবাড়ি-দাদুবাড়ির সবাই আসছেন আম্মার কাছে।পরিবারের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আম্মার মতামত নেওয়া হচ্ছে তাঁর কথার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আম্মা তো বাইরের জগৎ সম্পর্কে জানতেন, তাই তিনি সঠিক পরামর্শ নিতে পারতেন। আব্বাও সব সময় আম্মার সঙ্গে তাঁর কাজের ব্যাপারগুলো ভাগাভাগি করতেন। আরও বড় হতে হতে জেনেছি আম্মুর পরিশ্রমী জীবনের কথা। এখন বুঝি একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং অনায়াসে দায়িত্ব গ্রহণে আম্মার এই ব্যাপারগুলো আমাকে কতটুকু সহায়তা করেছে। যেমন সহায়তা করেছে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া কঠোর পরিশ্রম করার শিক্ষাটা,আর একজন সফল নারী হিসেবে সেগুলোও আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করত।আম্মু সব সময় বলতেন, মানুষকে কখনো ছোট করবে না । এই সৎ শিক্ষা আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেনে চলি। আমার কাজের মধ্যেও এই বিষয়গুলোর বড় প্রভাব রয়েছে। আম্মুর আরেকটা বিষয় আমাকে সব সময় অবাক করে, তিনি কারও বদনাম করতে পারেন না। মানুষের সমালোচনা হবে বা কূটনামি হয়ে যাবে এই ভেবে এটা তাঁর স্বভাবজাত। এই গুণ খুব কম মানুষের মধ্যেই আমি দেখেছি।যার জন্য এ পৃথিবীতে আশা তিনি হলেন আমার আম্মু।হাজারও অন্যায় করলে নিজের অজান্তে তাকে কষ্ট দিলে কিভাবে যেনো সে ক্ষমা করে দেয়।আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সন্তানের সফলতার পিছনে আম্মুর ভূমিকা সব থেকে বেশি।এখন কার মতো সব সময় আমার মাথার ছায়া হয়ে থেকো আম্মু।তুমি না থাকলে আমার জীবনে কালো ছায়া নেমে আসবে আম্মু শুধু আজকে না তুমি আমার কাছে সব সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভালোবাসি আম্মু ।সকল মমতাময়ী মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা।দোকানে বা যেকোনো জায়গায় গেলে সবাই আমাকে সম্মান করে আম্মু এতে খুব খুশি হন।আজ আমার যে পরিচিতি আর সম্মান, এসবই আম্মুর জন্য।এক কথায় বলব,আমার মা পৃথিবীর সেরা আম্মু।
লেখক মোঃ ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার,
নাট্যকার ও অভিনেতা,সিলেট ফ্রিডম প্রোডাকশন হাউজের কর্ণধার।