নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সাংবাদিক দিপনের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন মুক্তাদির চৌধুরী। ৪ মে সোমবার নগরীর টিলাগড়স্থ একটি অফিস কার্যালয়ে এই সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্টের সচিব ও জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান চৌধুরী।
এর আগে লোকমান চৌধুরী সিলেট প্রতিদিন সম্পাদক সাজলু লস্করের কাছে বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব পাঠান এবং স্থান নির্ধারণের অনুরোধ জানান। পরে সামাজিক দূরত্ববোধের বিষয়টি মাথায় রেখে টিলাগড়ে একটি অফিস কক্ষেই বিষয়টি নিস্পত্তির সিদ্বান্ত চুড়ান্ত করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় এই বৈঠকে এ সময় সিলেট প্রতিদিন সম্পাদক সাজলু লস্করসহ উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট সাতবাঁক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ।
সভায় মোক্তাদির চৌধুরী শারীরিক অসুস্থ্যতা জনিত কারণে বৈঠকে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকায় মোবাইল ফোনে দেবব্রত রায় দিপনের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভুলের উর্দ্ধে কেউই নয়। কথা বলতে গিয়ে আমার কিছু ভুল হয়ে গেছে-স্বীকার করে নিচ্ছি। আসলে শারীরিকভাবে আমি অসুস্থ থাকায় আগে যোগাযোগ করতে পারিনি। আশা করি আপনিসহ সাংবাদিক সমাজ আমার ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্ঠিতে দেখে নিবেন। এ সময় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মোহিত চৌধুরীকেও তিনি ফোনে অনাকাঙ্খিত বিষয়টির জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, লকডাউন পরিস্থিতিতে গেলো ৩০ এপ্রিল নগরীর অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ অভিভাবক বরাবরে মাসিক টিউশন ফি পরিশোদের তাগিদ দিয়ে একটি বার্তা প্রেরণ করে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে স্কলার্স হোমের মাদার সংগঠন হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর মুক্তাদির চৌধুরীর মন্তব্য গ্রহণ করেন সাংবাদিক দেবব্রত রায় দিপন। মন্তব্য গ্রহণ পরবর্তী সংবাদটি সিলেট প্রতিদিন টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশ হলে মুক্তাদির চৌধুরী দেবব্রত রায় দিপনতে ফোনে মামলা করার হুমকী প্রদান করেন। পরে এ বিষয়ে নিন্দার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওইদিনই স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সাংবাদিক দিপন জিডি করা থেকে বিরত থাকেন।