সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: লকডাউনে সারাদেশের মতো সিলেটেও বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় ভালো নেই শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও রয়েছেন দু:শ্চিন্তায়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান থেকে অভিভাবক বরাবরে আসলো এক কঠিন বার্তা। দেশের এই দু:সময়ে নগরীর স্কলার্স হোম শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতনসহ আগামী মে মাসের ২ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার তাগিদ প্রদান করেছে। প্রতিষ্ঠান কর্তক এমন বার্তা পাবার পর একাধিক অভিভাক যোগাযোগ করেন সিলেট প্রতিদিনে। এমনকি স্কলার্স হোম অধ্যক্ষ কর্তৃক বার্তা প্রেরণের স্কিনশর্টও পাঠিয়ে দেন কয়েকজন অভিভাবক। বিষয়টি প্রকাশের পর বুধবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে সকাল সোয়া ১০ টায় ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর মুক্তাদির চৌধুরীর নিকট ফোন দেন সিনিয়র সংবাদকর্মী ও দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক দেবব্রত রায় দিপন। মুক্তাদির চৌধুরী অভিভাবকদের বার্তা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ট্রাস্টের ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকেই এই বার্তা অভিভাবকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কলার্সহোমের প্রতিটি স্টুডেন্ট ঘরে বসে পাঠদান পাচ্ছে। অনলাইনে প্রতিদিন নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ক্লাসভিত্তিক এই পাঠদান চলছে। ক্যাম্পাস চালু না থাকায় মার্চ মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন বকেয়া থাকার কারণে সকল শিক্ষকদের বেতনও সময়মতো পরিশোধ করা যাচ্ছেনা। মুক্তাদির চৌধুরীর এই কতোপকথনের মোবাইল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের পর বেলা ঠিক সোয়া বারোটায় মুক্তাদির চৌধুরী ফোন দেন প্রতিবেদক দেবব্রত রায় দিপনের সেলফোনে। এ সময় প্রতিবেদককে শাসিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে যদি আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়-আপনি কিছু করতে পারবেন ? আপনি জানেননা-এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সরকার দলীয় এমপি হাফিজ মজুমদার?’ এ সময় তিনি আগের বলা বক্তব্যও অস্বীকার করে নেন। প্রতিবেদক মুক্তাদির চৌধুরীর বক্তব্য মোবাইলে সংরক্ষিত আছে জানিয়ে দিলে-তিনি দিপনকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করেন।