করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ড না পেয়ে রাগে ক্ষোভে এবার ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার এক ইউপি মেম্বারের মাথা ফাঁটিয়েছেন ওই ইউনিয়নের এক কৃষক।
এ ঘটনা ঘটেছে রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে।
ওই ইউপি মেম্বারের নাম আমান হোসেন। আহত অবস্থায় ইউপি সদস্যকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন আহত মেম্বার। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা প্রাপ্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ড বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করছিলেন ইউপি সদস্য মো. আমান হোসেন। এসময় তিনি ওয়ার্ডের নয়াডাঙ্গী গ্রামের লুৎফর সেকের বাড়িতে (কার্ডে নামধারীর) স্ট্যাম্প ছবি সংগ্রহ করতে গেলে লুৎফর সেকের ছোট ভাই মো. সাজাহান সেক মেম্বারের নিকট জানতে চায় তার নামে কেনো কার্ড দেওয়া হয়নি? উত্তরে একই বাড়িতে দুই কার্ড দেওয়া যাবে না বলে জানাতেই এ নিয়ে ইউপি সদস্য আমানের সাথে কথা কাঁটাকাটি হয় সাজাহান সেকের।
উত্তেজনার চরম পর্যায়ে সাজাহান সেক একটি লাঠি দিয়ে মেম্বার আমানের মাথায় আঘাত করে।
লাঠির আঘাতে মেম্বারের মাথায় জখম হলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় তাঁর মাথায় গুরুত্বর জখম স্থানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয় বলে জানায় উদ্ধারকারীরা।
এ ব্যাপারে চরবিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এভাবে জনপ্রতিনিধিদের আঘাত করা হলে জনসেবা দিতে অসুবিধা হবে।
ইউপি মেম্বার মো. আমান হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আমি যাচাই বাছাই করে তালিকা করেছি। কার্ডের ছবি সংগ্রহ করতে গেলে আমার উপরে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউনিয়নে হতদরিদ্র ও দিনমজুর, শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারগণ। সদরপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন প্রথমধাপে৩০০টি করে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ড পায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এর নিকট থেকে। কার্ডগুলো সদরপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার।