ডি এইচ মামুন:: করোনা ভাইরাসে যখন সারা পৃথিবী দিশেহারা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কর্মহীন। খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে মধ্যবিক্ত নিম্ন মধ্যবিক্ত সাধারণ জনগণ। অনেক এলাকার জনপ্রতিনিধিদের খোঁজ নেই। ঠিক তখন ঘরে বসে নেই দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট যুব সংগঠক, সাংবাদিক শাহ মো: ইমাদ উদ্দিন নাসিরী।
দেশে করোনা ভাইরাস বিস্তার শুরুর সাথে সাথে তিনি প্রথমে গণসচেতনা মুলক কার্যক্রম হাতে নেন। নিজ সামর্থ্যানুযায়ী লিফলেট, হ্যান্ডস স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভস বিতরণের ব্যবস্থা করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এরপর সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
শাহ ইমাদ উদ্দিন নাসিরীর আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। তিনি নিজেও তার ভাই বোনদের ও আত্বীয়দের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ত্রান সামগ্রীর ব্যবস্থা করে অভাবগ্রস্থ মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। তিনি নিজেও কাদে করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায়।
শাহ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী জানান, দক্ষিণ সুরমার মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখলে তার মন কেঁদে ওঠে। তাই তার শেষ সম্বলটুকু দিয়েও মানুষের পাশে ছুটে যান। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, এই কঠিন মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালী ব্যক্তিদের বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মো: ইমাদ উদ্দিন নাসিরী আরো বলেন, জনমানুষের একজন হিসেবে বিগতদিন যেভাবে এ এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, আজও আছি এবং আগামীতেও থাকবো। আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব সকলের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াই আমার ব্রত।
উল্লেখ্য, শাহ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী ছাত্রজীবন থেকেই দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন দাবী আদায়ের অগ্র সৈনিক হিসেবে রাজপথে কাজ করে চলেছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বাস্তবায়ন, দক্ষিণ সুরমা থানা ও মোগলাবাজার থানা প্রতিষ্টায় তার ভুমিকা ছিলো লক্ষনীয়।
তিনি যখন জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তখনও তিনি গনমানুষের কাছ থেকে দুরে সরে যাননি। কী দিন কী রাত অবিরাম ছিল তার ছুটেচলা। সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্টানে যোগদান সাংগঠনিক প্রগ্রোম সমূহে উপস্থিতি। খেলাধুলায় অংশগ্রহন ছিল তার নিত্যদিনের রুটিন। শুধু কি তাই বেরিয়ে পরেন সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনকল্যানমুলক কাজের সাথে বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করেন সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করে। যে যেখানে ডেকেছে সেখানে তিনি হাজির হওয়ার চেষ্টা করেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের কে কোন মতের এ ধরনের প্রার্থক্য তারা মধ্যে ছিলনা শুধু তাই নয় যেখানে দুর্যোগ সেখানে ই তিনি। নিজের টাকা খরচ করে ছুটে গেছেন দক্ষিণ সুরমা সহ বিভিন্ন স্থানে। চলে গেছেন কয়েকবার কক্সবাজারে রোহিংগা মুসলমানদের সহযোগীতায়, সুনামগঞ্জ বন্যা দুর্গতে পাশে।
শাহ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী কোন বিত্তশালী নন তার মনমানষিকতা চিন্তা চেতনা গুনাবলী বলতে গেলে এক অন্যন্য বিস্ময়কর। আ্জ পর্যন্ত নিজের জন্য কোন কিছুর চিন্তা করেননি, অন্যান্যদের মতো স্বার্থপর হননি। চাইলে তিনি কোটিপতি হতে পারতেন তার হাতে অনেক সুযোগ ছিলো কিছু করেননি। কিন্তু এ মানব দরদি মানুষটি পদে পদে বঞ্চিত ও প্রতারিত হতে হয়েছে। নিজের উপার্জিত যৎ সামান্য টাকা ও তার ভাই বোন আত্নিয়স্বজনের থেকে পাওয়া টাকা জনকল্যানে ব্যয় করে ফেলেন। কোন কোন সময় দেখা যায় তার পেকেটে এক টাকাও নেই । বাস্তবতার মুখামুখি হয়েছেন অনেকবার। টাকা হাতে পেলেই নিজের দুংখ দুর্দশার কথা ভুলে যান। ফিরে যান সেই সব কাজে। অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে। এ ভাবে চলছে তার পথচলা। তার মধ্যে অনেক গুনাবলি লক্ষনীয় । বলা যায় মানবতার কল্যাণে অনন্য এক নাম ইমাদ উদ্দিন নাসিরী।