ডেস্ক :: ড. সুজন পাল। পেশায় চিকিৎসক। অসুস্থ মানুষকে সেবা করাই তাঁর পেশা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া গ্রামের এই তরুণ চিকিৎসক করোনার এই দুর্যোগের সময়েও থেমে থাকেননি। নিয়মিত চেম্বার করছেন, অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বতো পালন করছেনই, পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাহায্য পৌছে দিচ্ছেন মানুষের ঘরে ঘরে। থেমে থাকেননি এখানেই। টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছেন ফ্রিতেই। তাঁকে ফোন করলেই মিলছে প্রয়োজনী চিকিৎসা পরামর্শ।
নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করা এই চিকিৎসক ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালেও কর্মরত ছিলেন দীর্ঘ দিন। ৩৯তম বিসিএস নন ক্যাডারের এই চিকিৎসক বর্তমানে সিলেট নগরীর একটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। করোনার এই বিপদকালীন সময়েও নিয়মিত চেম্বার করছেন। অস্ত্রোপাচারও করছেন রোগীদের। পাশাপাশি অসহায় মানুষদের সাহায্য তৈরি করছেন অলনাইন গ্রুপে। “Corona Helpline গ্রুপ” থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ঘরবন্দী মানুষজনদের।
করোনার শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিনই অসহায়, গরীব মানুষকে দিচ্ছেন ত্রাণ। নিজের উদ্যোগে, বন্ধু আর সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা নিয়ে কাজ করছেন ত্রাণ বিতরণের। এখন পর্যন্ত সিলেটে প্রায় দেড়শো পরিবারকে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। গত শুক্রবার শহরের বিভিন্ন এলাকার গরীব ও অসহায় ৫০ পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি মসুরি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ, ১ কেজি লবণ ও ১ লিটার সয়াবিন তেল।
যখনই খবর পাচ্ছেন অভ্যুক্ত কোনো পরিবার, খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে পৌঁছে যাচ্ছেন ওই অসহায় পরিবারের ঠিকানায়। পৌঁছে দিচ্ছেন সহায়তা। প্রয়োজনী খাবার সামগ্রী। ফোন করে যে কেউ চাইলেই নিতে পারেন জরুরী চিকিৎসা সেবা। এই চিকিৎসকের তৈরি করা “Corona Helpline গ্রুপ”র সদস্যরা জরুরী ঔষধ সামগ্রীও বিতরণ করছেন ফ্রিতে।
লকডাউনের সময়ে সবাই গৃহবন্দী। শারীরিক অসুস্থতায় তাই চাইলেও যখন তখন চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘরে বসেই তাই বিনা ফিতে পরামর্শ নিতে পারেন এই চিকিৎসকের কাছ থেকে। ০১৭৩৭০৫৩৮১০ এই নম্বরে ফোন করলেই ডা. সুজন পালের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলতে পারবেন। “Corona Helpline গ্রুপ”র মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেও পাবেন প্রয়োজনী চিকিৎসা পরামর্শ।