আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। আজ সোমবার এ দাম ২১ বছর আগে ফিরে গেল। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বন্ধ রয়েছে শিল্প কারখানা। এতে চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় অব্যাহতভাবে কমছে তেলের দাম। এছাড়া শেল তেলের রপ্তানিকারক দেশে যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ বেড়েছে যথেষ্ট পরিমাণ।
আজ সোমবার সকালে অগ্রিমবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ২.৬২ ডলার বা ১৪ শতাংশ কমে হয়েছে প্রতি ব্যারেল ১৫.৬৫ ডলার। একপর্যায়ে দাম আরো কমে যায়, ২১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ১৪.৪৭ ডলার। যা ১৯৯৯ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ম দর। এর পাশাপাশি ব্রেন্ট তেলের দাম ২১ সেন্ট বা ০.৮ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ২৭.৮৭ ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একসময় জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারের ওপরে ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে দাম কিছুটা কমেছিলো। কিন্তু এখন করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে শিল্প কারখানা সব বন্ধ। এতে তেলের চাহিদা কমেছে ব্যাপকভাবে। ফলে এখন পানির চেয়েও কম দরে বিক্রি হচ্ছে কালো সোনা। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ৩০ শতাংশ।
সিডনিতে সিএমসি মার্কেটের প্রধান বিশ্লেষক মিখায়েল ম্যাকার্থি বলেন, ‘তেলের দাম কমার কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশে বিপুল মজুদ থাকলেও বিশ্ববাজারে চাহিদা কমেছে ব্যাপকভাবে।’
সূত্র: রয়টার্স