সিলেট::এলাকার মানুষের কাছ মানবতার ফেরিয়ালা হিসেবে পরিচিত মুহিবুর রহমান মিছলু।
তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত বাংলাদেশ সরকার সারাদেশ লকডাউন ঘোষনা করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় দেশের শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অসহায় মানুষের কাছ থেকে ফোন অথবা ফেইসবুকে মেসেঞ্জারে মেসেজ পেলেই বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখতে দিনের আলোতে নয়, রাতের আঁধারে ছুটে যান বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছে “বিপদের বন্ধু” হিসেবে অসহায়দের জন্য খাদ্য সামগ্রী উপহার নিয়ে বাসা/ বাড়িতে।
তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজালাল উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ই.এফ এর সাবেক সেক্রেটারী, সমাজসেবী ও সংগঠক সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু।
মিছলু এর আগে তিনির উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে নগরীর শাহজালাল উপশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১টি করে হাত ধোয়ার ড্রাম এবং সাথে সাবানও দেন। প্রতিদিন গ্রামগুলোতে পানি দেন এবং স্প্রে মেশিন কাদে নিয়ে তার নিজ এলাকা শাহজালাল উপশহরে সবসময় জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটিয়ে আসছেন। খোজ নিয়ে যানা যায় মিছলু ২০১৮ সালের ২৭ আগষ্ট ধুমপান ছেড়ে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে ধুমপান করে পরিবেশ অনেক দূষণ করেছেন, তাই নিজের দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিদিন কিছু টাকা জমিয়ে রাখেন, উদ্দেশ্য হলো টাকা জমিয়ে ঐ টাকায় রাস্তা ঘাট, মসজিদ সহ যেখানে সুযোগ পাবেন সেখানে বৃক্ষরোপণ করবেন। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বৃক্ষরোপনের চেয়ে বড় মনে হলো এই সময়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ানো, তাই নিজের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছি। তিনি বলেন আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য অনুসরণ করে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কিছু না, সচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারি দিকনির্দেশনা মতে লকডাউনে থাকলে এই সমস্যা কেটে উঠা সম্ভব ইনশা আল্লাহ।