আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: করোনা তাণ্ডবে কাঁপছে মানুষ। মহামারীর করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বের খ্যাতনামা সব চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে চা পানে মিলবে করোনা থেকে মুক্তি এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে ভারতের টি বোর্ড থেকে। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার টি রিসার্চ ইন্সটিটিউট বলছে,ব্ল্যাক টি ও গ্রীন টি করোনা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
এর আগে চীন ও তাইওয়ান তাদের ল্যাবে প্রমাণ করেছে যে চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে যা করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা প্রমাণ করেছে চা থেকে প্রাপ্ত থিয়াফ্লাভিন এর মধ্যে কোভিড-১৯’সহ সার্স ও মার্স ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার গুণাবলি রয়েছে।
বেশ কয়েক ধরণের ব্ল্যাক টিতে থিয়াফ্লাভিনস ১,থিয়াফ্লাবিনস ২, থিয়াফ্লাবিনস ৩ রয়েছে যা করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে থিয়াফ্লাবিন ৩ প্রচুর পরিমাণে থাকে ব্ল্যা টি তে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার একটি গবেষণায় উঠে এসেছে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে গাছপালায় যে মেটাবোলাইটস থাকে তা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। গবেষণা শেষে জানা যায় ক্যাচিকাইন, এপিক্যাচিকাইন, গ্যালেট যার উৎস হলো চা সেগুলো করোনা প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালক করে। তালিনাড়ুর চা কমিটির প্রধান বলছেন, তিন থেকে চারবার ব্ল্যাক টি পান করলে কার্ডিয়াক ইনফেকশন, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
এদিকে চীনের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন তিনবার করে চা পান করানোর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলছেন বলে তথ্য আছে বার্তা সংস্থা সিএনএন ও চায়না ডেইলি নিউজে। সেই হিসেবে চীন, তাইওয়ান, ভারত বলছে করোনার মহৌষধ লুকিয়ে আছে চায়ের মধ্যেই।