আন্তর্জাতিক: ১৯ বছর বয়সী এক পিৎজা ডেলিভারিবয়ের শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লিতে।
দক্ষিণ দিল্লির ওই জোমাটো ডেলিভারিবয় সাম্প্রতিক সময়ে ৭২টি পরিবারকে খাবার সরবরাহ করেছিলেন।
মনে করা হচ্ছে তার ডেলিভারি দেয়া খাবারের মাধ্যমে ওই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই সব পরিবারেও। ওই তরুণ ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় খাবার ডেলিভারির কাজ করেছিলেন।
তথ্য অনুযায়ী শেষ ১৫ দিন তিনি দক্ষিণ দিল্লির হাওস খাস, মালব্য নগর এবং সাবিত্রী নগরের ৭২টি পরিবারকে খাবার পৌঁছে দেন।
ফলে ওই পরিবারগুলোকেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তাদের কারও শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না, সেই দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত ওই ডেলিভারিবয়কে দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনডিটিভি।
লকডাউনে টানা ২১ দিন গাড়িতে দুই ব্যবসায়ী : লকডাউনের জেরে টানা ২১ দিন গাড়িতে থেকে সচেতনতার নজির গড়লেন ভারতের রাজকোটের দুই ব্যবসায়ী।
লকডাউন শুরুর আগে গুজরাটের সুপারির বাজারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন ওই দুই ব্যবসায়ী। এরপর লকডাউন শুরু হয়ে গেলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে- এই আতঙ্কে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দুজনে।
২১ দিন শেষ অপেক্ষা আরও ১৯ দিনের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যে যেখানে আছেন সেখানেই থেকে যান। তাই গুজরাটের সুপারি বাজারে এসে কোথাও জায়গা না পেয়ে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দক্ষিণা কানাড়া জেলার পুট্টুরের ওই দুই ব্যবসায়ী।
গাড়িই ঘর, গাড়িতেই বিছানা, গাড়িতেই কাটছে দিনরাত। প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর শৌচাগার।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন থাকা সম্ভব? সারা দিন গাড়িতে থাকলেও খাদ্যসামগ্রী ফুরিয়ে আসছে তাদের।
এভাবে দিন কাটানো অসহনীয় হয়ে উঠছে তাদের জন্য। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন, যেভাবে হোক তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।