ওই দুদক কর্মকর্তা গত আট দিন ধরে রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. শিহাব উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, “রাত সোয়া ২টার দিকে তার প্রেসার নেমে আসে। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। আনফরচুনেটলি তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সাড়ে ৭টায় মারা যান তিনি।”
২২তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ওই কর্মকর্তা ২০১৬ সাল থেকে দুদকে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তিনি ছিলেন একজন সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন দেশ ও জনগণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবী কর্মকর্তাকে হারাল।”
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও ওই দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের ফেইসবুক পেইজেও শোক প্রকাশ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাস পজেটিভ আসায় গত ৩০ মার্চ ওই দুদক কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেওয়া হয়েছিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
ওই দুদক কর্মকর্তা স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা বাসাতেই আছেন বলে ওই হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানান।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, সর্বশেষ গত ২৪ মার্চ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অফিস করেন করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ওই পরিচালক।
“ওই কর্মকর্তার কাছাকাছি থেকে কাজ করেছেন এমন ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।”