ডেস্ক : গাইবান্ধা জেলার বোয়ালী ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের কয়াছয়ঘড়িয়া এলাকার ফলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার আসামি (ছকু মিয়াকে) ছয়দিন পার হলে ও এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই, গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ছকু মিয়া, আত্মগোপনে চলে যায়।
শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে, অভিযোগে জানা গেছে গত মাসের ২৮ তারিখ দুপুরে উপজেলার ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়নের কয়াছয়ঘড়িয়া গ্রামের শিশুটি বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে যায়।খেলার সময় প্রতিবেশী (সম্পর্ক দাদা) ছকু মিয়া (৫০) শিশুটিকে ফুসলিয়ে পাইপের আইসক্রিম ও ৫ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, মজনুমিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। ঐ খানে শিশুকে নিয়ে মোবাইলে খারাপ ভিডিও দেখিয়ে পড়নের প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করেন, রক্তাক্ত অবস্থায়। শিশুটি বাড়ীতে এসে দাদা ও প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়।
এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে, আসামি ছকু মিয়া আত্মগোপন করে। পরে শিশুটির দাদা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষনের একটি মামলা দায়ের করেন। শিশুটির দাদা বলেন,আমার নাতিনের যে ক্ষতি হয়েছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই, শিশুটির প্রতিবেশিরা বলেন,ছকু মিয়া একজন খারাপ চরিত্রের লোক।শিশুর পরিবার গরীব দিনমজুরি করে সংসার চালায়।মেয়েটি এখন বাড়ির বাহিরে যেতে চায় না।
মাঝে মাঝে ভয়ে আঁতকে উঠে শিশু মেয়েটি, আমরা সকলে খারাপ, ছকু মিয়ার বিচার চাই, আসামী ছকু মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ওদের সাথে আমার বিরোধ আছে , তাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিশ্বজিত জানান,শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি।ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।
আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে,গাইবান্ধার সদর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা ওসি শাহরিয়ার বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানায় মামলা রুজু করেছি। বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামী আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এখনো, তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে, এদিকে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ও মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য একটি কুচক্রীমহল হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ফোনে।