কানাইঘাট প্রতিনিধি: কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম পুলিশের সেবা জনগণের দূরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতা মূলক সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকায় সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন। সিলেটের অনেকে তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা পুলিশ সুপার হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। বিশেষ করে নোভের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগণকে সচেতন থাকার জন্য পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র মাঠ পর্যায়ে সক্রীয় রয়েছেন তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবাসী অধ্যুসিত সিলেট জেলা পুলিশের সকল থানা এলাকায় প্রতিদিন প্রবাস ফেরতদের তালিকা মনিটরিং ও করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন এ সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের সদস্যরা দিনরাত কঠোর দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় পুলিশ সুপারের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম সকল মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় কানাইঘাটে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সচেতনতার লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কানাইঘাটের চতুল বাজারে থানা পুলিশ দোকান পাঠ বন্ধ করতে গেলে বাজারের কিছু ব্যবসায়ী ও উশৃঙ্খল লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএমকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। এতে করে চতুল এলাকায় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য চতুল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধিরা কয়েক দফা থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের সাথে বৈঠক করে পুলিশের উপর হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামাজিক ভাবে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ^স্থ করেন। করোনা ভাইরাস সচেতনতা মূলক নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয় এবং যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতার করতে অনেকে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেন। পুলিশের উপর হামলা নিয়ে যখন এলাকায় এক ধরনের আতংকের সৃষ্টি হয়েছে, তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল হোসেন চতুলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং চতুল বাজারে আর কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে আশ^স্থ করলে কঠোর নির্দেশনা থেকে সরে এসে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশ সুপার চতুলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নির্দেশনা দেন। সেই আলোকে গতকাল শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম’র ও চতুলের মুরব্বীয়ানের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাধ্যমে পুলিশের উপর হামলাকারীরা উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। এজন্য পুলিশ সুপারের মহানুভবতার পরিচয় দেয়ায় এবং পুলিশ সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবক আখ্যায়িত করে চতুল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পাশাপাশি কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম কাউকে হয়রানী না করে সহযোগিতার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করায় তাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আপনারা যারা গণমাধ্যম কর্মী দেখেছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সিলেটবাসীকে সচেতন করার জন্য পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যারের নির্দেশনায় আমরা কিভাবে মাঠ পর্যায়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি পুলিশ অফিসার ও সদস্যরা জনগণের পাশে থেকে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণকে হয়রানী নয় বুঝিয়ে শুনিয়ে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সিলেটের কোথাও পুলিশ কারো প্রতি টর্চারিং করেনি। কিন্তু চতুল বাজারে এ ধরনের সচেতনতা মূলক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটে এজন্য পুলিশ সুপার স্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা দেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কানাইঘাট তথা চতুল এলাকার মানুষকে সম্মান দিতে গিয়ে স্যার তার নির্দেশনা থেকে সরে এসেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষোভ বা অভিমান নিয়ে কাজে করে না। সর্বদা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে। তার প্রমাণ পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যার, চতুলের ঘটনাটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।