ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন স্বামী। তার জ্বর-সর্দি ও কাশি দেখা দেয়। এতেই বাধে বিপত্তি। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে স্বামীকে আর বাড়িতে উঠতে দেননি স্ত্রী।
ঘটনাটি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের।
সোমবার সকালে তিনি বাড়িতে ফিরলে তার স্ত্রী প্রতিবেশীদের জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তার স্বামী। এমন খবরে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। দ্রুত সেখানে ছুটে যায় উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে বাড়িতে যান কাবিল প্রমানিক (৩২)।
স্ত্রী জেসমিন আক্তার প্রতিবেশীদের জানান, ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর তার স্বামীর জ্বর-সর্দি ও কাশি দেখা দেয়।
অসুস্থ কাবিল প্রামানিক জানান, তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তার শরীরে হালকা জ্বর ও সর্দি কাশি হয়। সে কারণে বাড়িতে চলে আসেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, বর্তমানে ওই ব্যক্তি সুস্থ থাকলেও তাকেসহ পরিবারের সকল সদস্যকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের লোকজনকে ওই বাড়ির আশপাশে গেলে মাক্স ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ওই পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিন খাবারের ব্যবস্থার জন্য সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বারীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/