করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় আজ সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতীয় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। জাতির উদ্দ্যেশে দেয়া ভাষনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আজ রাতের পর থেকে লোকদের অবশ্যই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়, প্রতিদিনের অনুশীলন, জরুরী চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় কাজে ভ্রমণ ব্যতীত সকলকে বাধ্যতামূলক বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।
এছারাও সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের দোকানগুলো বন্ধ থাকবে এবং দু’জনের বেশি লোক সমাগম নিষিদ্ধ। জনগণ যদি এসব নিয়ম কানুন গুলো না মানেন সেক্ষেত্রে তারা জরিমানার মুখোমুখি হবে।
এদিকে আজকের পর থেকে যুক্তরাজ্যের লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, আউটডোর জিম সকল উপাসনা স্থান গুলো বন্ধ করা দেয়া। পার্ক গুলো অনুশীলনের জণ্য খোলা থাকলেও জনসমাগম হলে তা বিচ্ছিন্ন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে মিলেই এ ভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। একই পরিবারের অনেক সদস্য যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে এনএইচএস কর্মীদের পক্ষে সম্ভব হবে না সকলকে চিকিৎসা দেয়া । তাই আমাদের সকলের উচিত এনএইচএস কে সহযোগীতা করা এবং তাদের উপর চাপ কমিয়ে আনা। সবাইকে বার বার বাসায় থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমারা সবাই মিলে খুব দ্রুতই এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো।
সরকারের দেয়া নির্দেশনাগুলো এর আগে না মানায় স্পেন,ফ্রান্স ও ইতালির মতই লক ডাউনের মত কঠিণ সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাজ্য সরকার।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে থাকা সকল ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত দেশের ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব । পরিস্তিতি আরও অবনতি হলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ভ্রমন।