যুক্তরাজ্যের সরকারের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৩৩ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮ জন। সরকার বলছে, এভাবে লাশের সারি বাড়তে থাকলে কবরের জায়গা সঙ্কট দেখা দেবে এবং দাফনের ক্ষেত্রে মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই করোনায় মৃতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হবে। উল্লেখ্য ব্রিটেনের প্রায় ৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মুসলিম এনগেইজমেন্ট অ্যান্ড ডেভোলাপমেন্ট নামক একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে শনিবার সকালে এই তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, সরকার ‘ইমার্জেন্সি করোনাভাইরাস বিল ২০১৯-২১’ নামে পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করেছে। এই বিলের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে একদফা বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ সোমবার তা পাস করার লক্ষ্যে আবারও পার্লামেন্টে তোলা হবে। এই বিলটি পাস হয়ে গেলে বর্তমানে ব্রিটেনের বহু ধর্মের মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অধিকার খর্ব হয়ে যাবে। স্থানীয় কাউন্সিল যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে দাফন করতে পারবে। কাউন্সিল চাইলে ধর্মমতে দাফনের অনুমতি দিবে, নতুবা মরদেহ জ্বালিয়ে ফেলতে পারবে।
বর্তমান “পাবলিক হেলথ ১৯৮৪ ধারা ৪৪ (৩)” আইনে মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্মমতে লাশ দাফনের অধিকার দেয়া আছে। ফলে স্থানীয় কাউন্সিল চাইলেই কারো মরদেহ জ্বালিয়ে ফেলতে পারে না। তাই পার্লামেন্ট চাচ্ছে এই আইনকে পরিবর্তন করতে। আইন পাস হয়ে গেলে ধর্মীয় নিয়মে লাশ দাফনের কোনো সুযোগ থাকবে না।
এদিকে, বিলটি পাস করার আগে তাতে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে এমপিরা ভূমিকা রাখতে পারেন সেই লক্ষ্যে চলছে ক্যাম্পেইন স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি লিখছেন, অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান ও শুরু হয়েছে। বিলটি যাতে আইনে পরিণত না হতে পারে। নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতে যাতে করে শেষকৃত্য করা যায়।
কারণ হিউম্যান রাইট আইন ১৯৯৮ অনুসারে মানুষের ধর্মীয় অধিকার উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, এই পর্যন্ত তিন বাংলাদেশি করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন। ইতোমধ্যে দুজনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী। একজনের লাশ এখনও দাফনের অপেক্ষায়।