এসবিএন নিউজ, ওসমানীনগর প্রতিনিধি সুজ্জল আহমদ: সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলায় তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বিশ্বনাথবাসীর উদ্যেগে এক বিশাল গণ-সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বুধবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ বাজারে এ গণ-সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। দল-মত নির্বিশেষে সংবর্ধনা অনুষ্টানে হাজার হাজার লোক সমাগম হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান।
আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল আহমদ মতছিন, এএইচএম ফিরুজ আলী, ফারুক আহমদ, মাহবুবুর রহমান লিলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিতার মিয়া, যুবলীগ নেতা শাহ আলম খোকনের যৌথ পরিচালনায়-
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ফখরু, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মজম্মিল আলী, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দাল মিয়া, বুড়ুঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকদ্দুছ আলী, প্রবাসী সবজ্জুল আলী, বেলফাষ্ট যুবলীগের সভাপতি আহমদ আলী, ওল্ডহাম যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ সাদেক আহমদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগ নেতা ফারুক আহমদ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি হাজী নোয়াব আলী, আওয়ামীলীগ নেতা আছলম খান, মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল কাদির, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আমরোজ আলী, জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবলীগ নেতা মাসুদ আহমদ, ওসমানীনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়া, সাধারন সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল, উপজেলা যুবলীগ নেতা আমির আলী, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফজলু মিয়া, যুবলীগ নেতা, আলাউদ্দিন আজাদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলী হোসেন রুহেল, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহিম, প্রজন্মলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসির উদ্দিন, ওসমানীনগর উপজেলা ছাএলীগ নেতা জাকির আহমদ কামিল, সেলিম আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনু মিয়া, রফিক মিয়া মেম্বার, আবদুন নূর মেম্বার, আবদুশ শহিদ মেম্বার, উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হাজী সিতাব আলী, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল আলম লালু, আবদুল মনাফ মেম্বারসহ জেলা ও উপজেলা শাখার আওয়ামীলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও প্রজন্মলীগের শত শত নেতা-কর্মী।
বিশাল এ গণ-সংবর্ধনায় দল-মত নির্বিশিষে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে তাদের প্রিয় নেতাকে সংবর্ধনার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রদান করতে।
উক্ত অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন গণ-সংবর্ধনা পরিষদের আহবায়ক ছয়ফুল হক। বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাজা মিয়ার পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ মহতি অনুষ্টান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান বলেন, রাজনীতির প্রাণ পুরুষ হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ায় সবার মতো আমিও অত্যন্ত খুশি। যোগ্য নেতার সঠিক প্রাপ্য। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এলাকার উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আগামীতে আরোও কর্ম দক্ষতার সাথে তিনি এলাকার উন্নয়নের সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই যদি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন তাহলে আনোয়ারুজামান চৌধুরী তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি এহিয়া বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামীলীগের একজন অতি বিশ্বস্থ ও আস্থাভাজন নেতা। বস্তুত তিনি বিশাল মনের অধিকারী। বলতে দ্বিধা নেই, তিনি ভিন্ন দল ও মতের হয়েও বিগত দিনে আমাকে এলাকার উন্নয়নমুলক কাজে ব্যাপক সহযোগীত করে চলেছেন। আমি জাতীয় পার্টির একজন স্থানীয় এমপি, কিন্তু এলাকার উন্নয়নে তিনি দল ও মতের উর্ধে থেতে তার সহযোগীতার হাত অব্যাহত রেখেছেন। তাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে স্থানীয় এমপি হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান বলেন, আনোয়ারুজ্জামানকে আপনাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে আমি সুদুর যুক্তরাজ্য থেকে এসেছি। কোন টাকা পয়সার টানে আসি নাই, এসেছি ভালোবাসার টানে। দেশের সর্ব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আনোয়ারুজ্জামানের হাত দিয়েই বাস্তবায়িত হবে উপজেলার আগামী দিনের সকল উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি সকলকে মিলিতভাবে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আ্হবান জানান।
বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশ্বায়নের দিকে এগুচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সময় আর বেশী দিন নয় বাংলাদেশ একদিন উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়াঁবে। তিনি বলেন, সুবিধাভোগিরা আজ মুজিব কোট পরে। এরা খন্দকার মোস্তাকের দোসর, সমাজ থেকে এদের উৎখাত করতে হবে।
গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ফখরু বলেন, এদেশে রাজনীতির জন্য কেউ কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে জায়গা খালি করে দিতে চায়না। কিন্তু এই কাজটি করেছেন মুহিবুর রহমান। তিনি আনোয়ারুজামান চৌধুরীকে সেই কাজটিই করে দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি আনোয়ারুজামান ও মুহিবুর রহমান যৌথভাবে নিজেদের কর্মকান্ডের দ্বারা এই জনপদকে একদিন আলোকিত করবেন এবং এই এলাকার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন।
সংবর্ধনার জবাবে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য বিরোধী দলীয় এমপিকে সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়, এলাকার মানুষের জন্য। তিনি বলেন, নির্বাচনী আসনের জন্য দেড় কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কাজ করেছি। আমি সহযোগীতা ও সহমর্মিতায় বিশ্বাস করি। কখনোই মানুয়ের প্রতি নির্যাতন, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখতে চাইনা। আগামী নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়বাংলা বলার মতো মানুষ সৃস্টি করতে হবে। এটা হচ্ছে আমার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাবো। বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এলাকায় গ্যাস না দিলে অন্য এলাকায় গ্যাস যাবেনা। ভবিষ্যতে আমি এমপি হতে পারলে কোন ঘটনায় এলাকার ৮ হাজার মানুষকে আসামী করে থানায় কোন মামলা দায়ের করা হবে না। সর্বোপরী তিনি সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেন যাতে মহান আল্লাহপাক তার ভবিষ্যতের সব ধরনের কঠিন থেকে কঠিনতর পথকে মসৃন করে দেন। এলাকার উন্নয়নে যাতে একজন নিবেদিত প্রাণপুরুষ হয়ে কাজ করে যেতে পারেন। তিনি কৃতঞ্জতাভরে সংবর্ধনাস্থলে আগত হাজার হাজার শুভাকাংখীদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।