নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জানা যায় গত কয়েকদিন আগে একব্যক্তি মহাজনপট্টির ফেরদৌসি ম্যানশনে একটি দোকান গুদামের জন্য ভাড়া নিতে আলাপ আলোচনা করেন। আগামী এপ্রিল মাস থেকে তিনি গুদাম ভাড়া নেওয়ার কথা। এর মধ্যে ওই ব্যক্তি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই গুদামে কিছু বোতলজাত কোমল পানীয় (স্প্রিড) এনে রাখেন। এর মধ্য থেকে এক কেইস পানীয় হারিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা সলিট খান মুনসহ কয়েকজন এসে বদরুল ইসলাম বেলালের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন এবং গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দিয়ে যান।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবার বদরুল ইসলাম বেলালের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে মোটা অংকের চাঁদা চাইতে এলে তিনি এতে অসম্মতি জানালে সলিট খান মুন ও যুবলীগ নেতা রুপম, নজরুল ও জামালের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বেলালের উপর ‘দৈনিক সিলেট মিডিয়া’ অফিসে বর্বর হামলা চালিয়ে বেলালকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এতে বদরুল আলম বেলাল গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি হন।
এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিকেলে ফেরদৌস ম্যানশন এর ব্যবসায়ীবৃন্দ মানব বন্ধন করেন। এতে সবাই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ব্যবসায়ী নেতারা আরো জানান, বদরুল আলম বেলালের উপর হামলার বিচার দ্রুত না হলে ব্যবসায়ী সমিতি পক্ষ থেকে আরো কর্মসূচি দেয়া হবে। সিলেট হচ্ছে বাংলাদেশে অন্যতম শান্তির জায়গা, এখানে ব্যবসায়ী উপর সন্ত্রাসী হামলা ন্যক্কারজনক।৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট শান্তি শৃঙ্খলার জায়গা। এরকম যায়গায় এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না তাই সিলেটের শান্তি বজায় রাখতে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে বিচার করা জরুরী।
এ ঘটনায় আহত বেলালের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শেখ মনসুর মঙ্গলবার রাতেই বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয় এবং সলিট খান মুনকে প্রধান আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সলিট খান মুন ছাড়া এজহারনামীয় অন্য আসামীরা হলেন, কাশেম, নজরুল, জামাল ও রূপম। এর মধ্যে বুধবার ভোর রাতে কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া জানান, হামলার ঘটনায় থানায় ৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কাশেম নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।