প্রবাসি অধ্যুষিত সিলেটে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছেই। প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে সাধারণের সাথে মিশে যাওয়ায় এই আশংকা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত এক মাসে প্রায় ১৮ হাজার প্রবাসি এসেছেন সিলেটে। এর একটি অংশ সিলেট নগরিতে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি পর্যটন নগরী সিলেটে পর্যটকদের আসা যাওয়ার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে এ অঞ্চল।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের নিদের্শক্রমে নগর ভবনে ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কমিটির’ সভায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেট সিটি করপোরেশন সহ সকলের সহযোগিতায় নগরজুড়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রবাস ফেরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমনে ঝুঁকি রোধে, ঘনঘন হাত ধোয়া, যেখানে সেখানে থুতু বা কফ না ফেলা, হাত দিয়ে নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ না করার আহবান জানান সিসিক মেয়র।
নগরবাসিকে জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবানও জানান বৈঠক থেকে।
সভায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা অধিদপ্তর, সমাজসেবা, পরিবার পরিকল্পনার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিলেট মহানগর পুলিশ, চেম্বার অব কমার্স, প্রেসক্লাব, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিমানবন্দর ও বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতাল সমিতির প্রতিনিধিদের সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া কয়েক দফায় স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। এসময় সবাইকে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয়।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডায় ধর্মীয় বক্তব্য প্রদানের সময় করোনা সংক্রমন রোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামুল বক্তব্য প্রদানের আহবান জানানো হয়।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে নগরীতে বাড়তি পণ্য কেনার হিড়িক পড়েছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এর নেতৃবৃন্দকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো আহবান জানান হয়। পাশাপাশি জনগণকেও অতি উৎসাহি হয়ে পণ্য মওজুত থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।