নিজস্ব প্রতিবেদক:: দক্ষিণ সুরমা’র লালাবাজারে রাস্তা কাটার জের ধরে দু’টি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জনসাধারণের ব্যবহারের রাস্তা জোরপূর্বক কর্তনের চেষ্টা করলে পশ্চিমভাগ গ্রামে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি’র সুষ্ট সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাস্তা কাটা নিয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খালপাড়া মৌজার পশ্চিমভাগ গ্রামের উত্তর অংশ থেকে পূর্বমুখী সড়কটি খালপাড়- পশ্চিমভাগ গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে গ্রামের লোকজন সহ ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কটি ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে আসছেন গ্রামের একটি পরিবার। যারা দীর্ঘদিন খালপাড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। উক্ত সড়কটি নিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার স্ত্রী রসবুন নেছা, তাদের পুত্রদ্বয় লুতফুর রহমান ও সোহেল আহমদ গত ১৪মার্চ সকালে উক্ত সড়কটি কাটতে গেলে পশ্চিমভাগ গ্রামের আব্দুল মালিক, ছুরত আলী ও আনছার আলী বাধা প্রদান করেন। ফলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে পৌছে সড়ক কাটা থেকে বিরত থাকতে সোহেল আহমদ গং কে অনুরোধ করেন। কিন্তু এলাকার জনবহুল সড়কটি নিজের দখলে নিতে রসবুন নেছা গং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিদের্শ অমাণ্য করে গত ১৮মার্চ বিকেলে আবারও দলবল নিয়ে সড়কটি কাটতে শুরু করেন। আবারও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসে তাদের বাধা প্রদান করেন। উক্ত ঘটনার জের ধরে ১৯মার্চ সকালে পশ্চিমভাগ গ্রামের লামাপাড়াস্থ মার্কেটে এক জমায়েতের ডাক দেয়া হয়। এ খবরে পুরো গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ, লালাবাজার ইউ/পি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল হোসেন ফয়লা, সাবেক ইউ/পি সদস্য শহীদুর রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজলের মাধ্যমে আপোষ সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ইউ/পি সদস্য সিরাজ আহমদ বলেন, পশ্চিমভাগ গ্রামের জনসাধারণের যোগাযোগের মাধ্যম সড়কটি একটি পক্ষ কর্তনের চেষ্টা করলে অপর পক্ষ বাধা প্রদান করেন। ফলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিদের্শ অপেক্ষা করে জনগণের ব্যবহারের সড়কটি কেটে ফেলা কোন অবস্থায় সমীচিন নয়।
স্থানীয় ইউ/পি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল জানান, জনসাধারণের ব্যবহারের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে পশ্চিমভাগ গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর সুষ্ট সমাধানে থানা পুলিশ সহ এলাকার বিশিষ্টজন আন্তরিক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, পশ্চিমভাগ গ্রামে সড়ক কাটা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ আপোষ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে সংযত রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।