তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এই দিনে বিএনপি’র সুযোগ ছিলো, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয়ার, কিন্তু তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
মঙ্গলবার সকালে তথ্যমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ও বিএফডিসি’র জহির রায়হান মিলনায়তনে চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক-শিল্পী-কুশলী আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কোনো কর্মসূচি না রেখে সেটাই তারা আবারো প্রমাণ করেছে।’
‘বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কুশীলব ছিলেন’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু কুশীলবই ছিলেন না, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে তাদের চাকরি দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে একমাস স্থায়ী সংসদে বঙ্গবন্ধুর খুনীকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা হলো যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল, আজ তাদের নামই মুছে গেছে’।
করোনাভাইরাসের কারণে আমরা অনুষ্ঠানগুলো পুনর্বিন্যাস করলেও মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো ঘাটতি নেই, সবাই আজকে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছেন, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তাই যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়, তাদের প্রতি জাতি ধিক্কার জানায়।’
বিএফডিসি’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে চলচ্চিত্র তারকা আলমগীর, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়িকা সুজাতা, রোজিনা, দিলারা প্রমুখ সভায় অংশ নেন। সূত্র : বাসস