মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজারের অধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ডে প্রথম কোনো বাংলাদেশি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে শহরটির একটি হাসপাতালে তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
করোনায় আক্রান্ত এই ব্যক্তি এতদিন নিউ ইয়র্কের একটি আইটি (তথ্য প্রযুক্তি) অফিসে কর্মরত ছিলেন। এবার তার পরিবারে আরও চার সদস্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
আক্রান্ত বাংলাদেশির বন্ধু ইউসুফ আহমেদ বলেন, পরিবারটির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। এক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। সর্বক্ষণ রোগীর দেখাশুনা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ মার্চ) নিউ ইয়র্কে ৮০ বছর বয়সী করোনায় আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে শহরটিতে এটিই প্রথম মৃত্যু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৬ জন। যার মধ্যে প্রাণ গেছে ৫৭ জনের।
চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি মহামারি ভাইরাসটি মোকাবিলায় এরই মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।