সিলেট: গোলাপগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে একের পর এক টিলা কাটা অব্যাহত আছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গোলাপগঞ্জে অবাধে চলছে টিলা কাটা। এতে টিলা বেষ্টিত এ অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ার পাশাপাশি পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে বেড়েই চলছে টিলা কাটার ঘটনা। নানা কৌশলে একের পর এক টিলা কেটে সাবাড় করছে ভূমি দস্যুরা। দিনের পর দিন টিলা কাটা চললেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার পরিবেশ অধিদফতর, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নামমাত্র অভিযান চললেও সেসব অভিযান তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। জানা যায়, উপজেলার টিলা বেষ্টিত এলাকা ঢাকা দক্ষিণ ইউপির নিশ্চিন্ত পোস্ট অফিস সংলগ্ন টিলা, নিশ্চিন্ত খর্দ্দাপাড়ার হাইনাপাড়া এলাকায়, বিএনকে স্কুল সংলগ্ন টিলা, আমুড়া ইউপির ধারাবহর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়, কানিশাইল বর্মপুর এলাকা, রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্মুখের টিলা, বাঘা সোনাপুর পয়েন্ট ও লক্ষ্মীপাশা ইউপির বিভিন্ন স্থানেই সুকৌশলে ভোররাত এবং রাতের আঁধারে মাটি ব্যবসায়ীরা টিলার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক টিলা ধ্বংস করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না নেওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শবনম শারমিন বলেন, অত্যন্ত সুকৌশলে রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে যায়। অনেক সময় অভিযান চালিয়ে এদের কাউকে পাওয়া যায় না। টিলা কাটার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়ন তহসিলদারদের এ ব্যাপারে কঠোর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।