সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীতে ডুবে নিখোঁজ কিশোরের লাশ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুশিরায়ারা নদীর শেরপুর ব্রিজের নিকট লাশটি ভেসে ওঠে। নিখোঁজের প্রায় ১৭ ঘন্টা পর মরদেহটি উদ্ধার করা হলো।
ওই কিশোরের নাম মারুফ মিয়া (১৭)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার পশ্চিম ফতুল্লা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার পুত্র। এ ব্যাপারে কোনো মামলা করবেন না বলে জানালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মারুফের লাশ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মারুফ মিয়া এসএসসি পরীক্ষা শেষে ১৯ জনের একটি দলের সাথে তাবলীগের জন্য ওসমানীনগরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা নবীগঞ্জের শেরপুর আবাসিক জামে মসজিদে আসে। ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নামে মারুফসহ ৩ জন। এ সময় তারা নদীর এপার থেকে ওসমানীনগরের ওপার পর্যন্ত সাঁতার কাটতে যায়। দুইজন ফিরে এলেও মারুফ মিয়া পানির নিচে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওসমানীনগর উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এবং সিলেটের তালতলার ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১৭ ঘন্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুশিরায়ারা নদীর শেরপুর ব্রিজের নিকট লাশটি ভেসে ওঠে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা ফায়ারসার্ভিসের ইনচার্জ রাজা মিয়া বলেন, শেরপুরে কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ হয় মারুফ মিয়া। আমরা খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। প্রায় ১৭ ঘন্টা অভিযান শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের আত্মীয়-স্বজন কোনো মামলা করতে না চাইলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।