ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৩ বাংলাদেশির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাদের স্বাস্থ্য ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশে পাঠাবে নয়াদিল্লি।
আজ শনিবার (১৪ মার্চ) বিকালে ইনডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ছাড়বেন তারা। এতে বাংলাদেশ সরকার আর্থিক সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এবং এক শিশুসহ একটি পরিবারের ওই বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এরা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
বাংলাদেশ সরকার গত ১ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে ৩১২ নাগরিককে ফিরিয়ে আনে। বাকি বাংলাদেশিদের ফেরত আসার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করা হয়। আটটি পরিবার ও পাঁচ শিশুসহ ৭৬ ভারতীয় নাগরিক এবং অন্য দেশের ৩৬ নাগরিককে ফিরিয়ে আনার পর প্রথমে বিমানবন্দরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাদের প্রাথমিক সব সুবিধা সরবরাহ করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের, ৬ জন চীনের, মায়ানমার ও মালদ্বীপের ২ জন করে এবং মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে নাগরিক ছিলেন।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে প্রথম দলকে ফিরিয়ে আনার ৪৮ ঘণ্টা আগে নয়াদিল্লির ছাওলাতে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প প্রস্তুত করেছিল আইটিবিপি। বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির ঢাকাস্থ হাই কমিশন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী চীনের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের সুরক্ষিত রাখতে এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের প্রচেষ্টা নিঃস্বার্থ ছিল। নিজেদের নাগরিকদের মতো বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গেও তারা দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা সব সময় এই সহায়তা মনে রাখব।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও স্থানীয় তিনটি বিমান সংস্থা ভারতে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশিদের আজ শনিবার সুষ্ঠুভাবে ফেরাতে বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।