ডেস্ক : যশোরে সরকারি কোনো হাসপাতালে একটিও আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটরও নেই। জটিল শ্বাসতন্ত্রের রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা বলতে আছে কেবল অক্সিজেন ও নেব্যুলাইজার। নিলফামারীতে অন্যান্য প্রস্তুতি থাকলেও চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মীদের মাস্ক, গাউন কোনো কিছুই নেই। সেখান থেকে চাহিদা পাঠানো হয়েছিল কিন্তু উপকরণ পৌঁছেনি। রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রও চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম এখন পর্যন্ত পায়নি। বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কয়েকবার চাহিদা দেওয়া হয় ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাকের (পিপিই) জন্য। কিন্তু তা পৌঁছেনি। এই হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে—সারা দেশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত। তবে বাস্তবে এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে স্থানীয় কর্মকর্তারা সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিয়েছেন আলাদা বেড-ইউনিট সংরক্ষণ করার জন্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। তবে সংকট রয়েছে চিকিৎসা উপকরণের। ঢাকার বাইরে যাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্র বা আইসিইউ দরকার হবে তাদের রাখার মতো ব্যবস্থা নেই বেশির ভাগ জেলার সরকারি হাসপাতালেই। এসব ক্ষেত্রে সেখানে বড় উপকরণ বলতে আছে কেবলই অক্সিজেন আর নেব্যুলাইজার। ভেন্টিলেটরও নেই কোথাও কোথাও। ফলে মাঠপর্যায়ের হাসপাতালগুলো কেবলই প্রাথমিক ধাপের করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবার উপযোগী করে সাজানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনের দরকার হলে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আইসিইউ আছে। তবে সব আইসিইউ আমরা করোনার রোগীদের জন্য রাখতে পারছি না। কারণ অন্য রোগীদের দিকটিও দেখতে হচ্ছে। ঢাকার বাইরে যেসব এলাকায় আইসিইউ সুবিধা নেই বা প্রয়োজনমতো পাওয়া যাবে না সেখানকার রোগীদের আমরা ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে আসব। তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক পোশাক, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মতো উপকরণগুলো যে যে এলাকা থেকে চাওয়া হয়েছে, আমরা দ্রুত সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছি। যদি সংকট পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা নিতে পারব। সংস্থাটি আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়েছে।’
কেবল ঢাকার বাইরেই নয়, ঢাকায়ও সরকারিভাবে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা আরো বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের মতে সরকারি আইসিইউ পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত করতে না পারলে বেসরকারি একশ্রেণির হাসপাতাল এই পরিস্থিতির মধ্যেও অসাধু বাণিজ্যের সুযোগ নিতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার আওতায় এরই মধ্যে ঢাকায় উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পুরোটাসহ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মোট ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল কুয়েত মৈত্রীতে আগেই ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়েছিল, আজকালের মধ্যে আরো ২০টি বেড চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া রাজধানীর মহানগর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল ও মিরপুর লালকুটি হাসপাতালকেও করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাভারের কোরিয়ান মৈত্রী হাসপাতালকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে এ জন্য। এগুলোতে আরো ৩৫০টি বেড থাকছে সম্ভাব্য করোনা রোগীদের জন্য।
ওই পরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সব উপকরণ আমরা হাতে পাইনি। ৩০০টির মতো আছে। এগুলো আগে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে বিতরণ করা হচ্ছে। এই সপ্তাহের মধ্যে আরো কয়েক হাজার পেয়ে যাব। তখন ঢাকার বাইরে পাঠাব। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের আগের যে উপকরণগুলো আছে সেগুলোও এখন ব্যবহার করা যায়।’
ঢাকার বাইরের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাড়ে চার হাজার বেড প্রস্তুত করেছি। তবে ঢাকার বাইরে এখনো কোনো আইসিইউ প্রস্তুত করা যায়নি। শিগগিরই ঢাকার বাইরেও আইসিইউ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
এদিকে সরকারের নির্দেশনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও করোনার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চালু করা হচ্ছে আজ থেকে। এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনসমাগমের বিষয়টি। প্রতিদিন এই হাসপাতালে যে পরিমাণ মানুষের ভিড় হয় তাতে করে কিভাবে করোনা ব্যবস্থাপনা নিরাপদে বাস্তবায়ন করা যাবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা আছে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের উপকরণের তেমন সংকট নেই। তবে আমরা উদ্বিগ্ন ভিড় নিয়ে। অবকাঠামোগত কারণেই আলাদা চিকিৎসাব্যবস্থা কার্যকর করা আমাদের জন্য কঠিন। রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। তবু আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে ও মানুষের আস্থার প্রতি সম্মান রেখে বুধবার থেকেই জ্বর-সর্দি, হাঁচি-কাশির উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আউটডোর এলাকায় আলাদা ব্যবস্থা করেছি। জরুরি বিভাগেও একইভাবে আলাদা ব্যবস্থার প্রস্তুতি রেখেছি। কারণ এখানে কেবল জরুরি বিভাগেই দিনে প্রায় দেড় হাজার রোগীর ভিড় হয়। এখানে যদি কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী এসে পড়ে তবে কী পরিস্থিতি হবে সেটা চিন্তার ব্যাপার। তাই বলে আমরা তো কাউকে হাসপাতালে আসতে বারণও করতে পারব না।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান বলেন, ‘ভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগীরই আইসিইউ লাগবে না। তবে যাদের লাগবে তাদের যাতে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজনমতো দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা সব জায়গাতেই রাখা উচিত। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, কারিগরিভাবেই আরো কিছু দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তা হচ্ছে—হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীকে যাঁরা সেবা দেবেন তাঁরা একেকজন সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে পারবেন না, তাঁদেরকে ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাক পরতে হবে। কেবল বেড রাখলেই হবে না। আনুপাতিক হারে জনবলও লাগবে। কিন্তু আমাদের জনবলেরও তো সংকট আছে।’
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসাসেবাকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার উপকরণগুলো সব জায়গায় থাকা জরুরি।
বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে মাস্ক-গ্লাভস-ক্যাপের কোনো সংকট নেই। এগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করেছি। ঢাকা থেকে কিছুই পাঠায়নি এখনো। পিপিইর চাহিদা দিয়েছিলাম কয়েকবার। পাইনি। তবে কয়েক বছর আগের এবোলার সময়কার অনেকগুলো ওয়ানটাইম গাউন আছে। সেগুলো প্রস্তুত রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেড় শ বেড ও আইসিইউ প্রস্তুত আছে। কিন্তু চিকিৎসকের খুব অভাব। আর এবার যে উন্নতমানের পোশাক এসেছে তা পেলে চিকিৎসক-নার্সরা নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।’
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন বলেন, ‘অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে আমরা প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে এই জেলায় সরকারি কোনো হাসপাতালের একটিতেও আইসিইউ বেড বা ভেন্টিলেটর নেই। ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ জটিল অবস্থা নিয়ে যদি এখানে আসে তাকে সাপোর্ট দিতে অক্সিজেন বা নেব্যুলাইজার ছাড়া আর কিছু নেই।’
তিনি জানান, সদর হাসপাতালের ১০টি বেড (কেবিনসহ) আইসোলেশন ইউনিটি হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এর বাইরে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে সেটি খালি করা হয়েছে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য। ওই হাসপাতালে ৪০টি বেড রয়েছে। এ ছাড়া একটি ওয়ার্ডকেও ঠিক করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঁচটি করে বেড আইসোলেশন ইউনিটের জন্য সংরক্ষণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের হাসপাতালের দুটি ভবনের মধ্যে যেকোনো একটি করোনাভাইরাসের রোগীদের সেবার কাজে ব্যবহার করা হবে—যেখানে অন্য রোগীদের যাতায়াত থাকবে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এ ছাড়াও জেলা শহরে তিনটি ও উপজেলায় একটি করে স্কুল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করতে।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে চারটি কক্ষে আট শয্যার আইসোলেশন ইউনিট। হাসপাতালের একতলা একটি ভবনে গত মাসের ২০ তারিখে খোলা হয় এটি, যা অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে একেবারেই আলাদা। এই হাসপাতালের ছয়তলার নতুন একটি ভবন রয়েছে। এখন সেটিতে চলছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালুর কাজ।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেসবাহুল হাসান চৌধুরী জানান, জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, আয়া, সুইপার—সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এরই মধ্যে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ সদস্যের র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে গত ১ তারিখে। সহকারী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি থাকলেও চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মীদের মাস্ক, গাউন কোনো কিছুই নেই। এর আগেও চাহিদা পাঠানো হয়েছিল, আজ আবার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।’
রংপুর : জেলায় প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ১৪১টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে ১০০ এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪১ বেড রয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর শিশু হাসপাতাল ও হারাগাছ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই ক্যাটাগরিতে এই ১৪১টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলাদাভাবে ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে হারাগাছে ৩১ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হবে। এর পাশাপাশি নবনির্মিত ১০০ শয্যার রংপুর শিশু হাসপাতালটি আপাতত কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু আল হাজ্জাজের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা আইসোলেশন রুমে চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করবেন। তবে চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও সুরক্ষা ইউনিফর্ম নেই।
সিরাজগঞ্জ : জেলায় ১০০টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি ও বেসরকারি এনায়েতপুর খাজা ইউনূস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং নর্থবেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিটিতে পাঁচটিসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলিয়ে এই ১০০ শয্যা ঠিক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় মাস্ক, ওষুধ ও পোশাকও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জামালপুর : সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পর্যায়ের আইসোলেশন কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে হলেও খোদ ২৫০ শয্যার জামালপুর সদর হাসপাতালে চালু করা আইসোলেশন ওয়ার্ডটিতে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের করিডরের পাশেই চোখে পড়ে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড ফর করোনা ভাইরাস’ লেখা সাইনবোর্ড। জরুরি বিভাগের টয়লেট কক্ষের সামনে এই আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়। ভেতরে নোংরা পরিবেশ।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফেরদৌস হাসান বলেন, ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে সেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি বা জিনিস পর্যাপ্ত নেই। গাউন বা বিশেষ পোশাক ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ