প্রথমবারের কোনো ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। তাদের রেকর্ড গড়া ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ছে বাংলাদেশ। টানা তিন ম্যাচে গড়েছে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ।
লিটনের বিদায়ের পর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন তামিম ইকবাল। ডনাল্ড টিরিপানোকে দুই ছক্কার পর মেরেছেন চার।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩১২/১। তামিম ১২৭ ও মাহমুদউল্লাহ ৩ রানে ব্যাট করছেন।
রেকর্ড গড়ে ফিরলেন লিটন
৭ ওভার কমে যাওয়া ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ছুটছিলেন লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ১৪৩ বলে ১৬ চার ও ৮ ছক্কায় ফিরলেন ১৭৬ রান করে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ। তামিম ইকবালের ৭ ছক্কা ছাড়িয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ ছক্কায় গড়েছেন নতুন রেকর্ড।
চার্লটন সুমাকে ওড়ানোর চেষ্টায় সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়েন লিটন। ভাঙে ২৯২ রানের জুটি। ওয়ানডেতে এটা যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
তামিমকে ছাড়িয়ে লিটন
আগের রেকর্ড টিকেছিল ১১ বছর। পরের রেকর্ড টিকল স্রেফ দুই দিন। তামিম ইকবালের ১৫৮ ছাড়িয়ে গেলেন লিটন দাস। ১৩৯ বলে ১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ১৬৪ রান নিয়ে খেলছেন লিটন। তামিম ব্যাট করছেন ১০৯ রানে।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৯/০।
তামিমের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক ছন্দে খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় ও ওয়ানডেতে এটি বাঁহাতি ওপেনারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি।
৯৮ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান তামিম। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ছক্কা ও পাঁচটি চার। এই ওভারেই তামিমের বাউন্ডারিতে ওয়ানডেতে নিজেদের প্রথম আড়াইশ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ।
৩৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৬/০। তামিম ১০৭ ও লিটন ১৪৫ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা জুটি
ওপেনিংয়ে দেশের সেরা জুটি হয়ে গেছে অনেক আগেই। এবার ওয়ানডেতে দেশের সেরা জুটির রেকর্ড গড়লেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের জুটিকে।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ওই জুটি গড়েছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ।
৩৮তম ওভারে চার্লটন সুমার প্রথম বলে লিটনের ছক্কায় শুরুর জুটি ছাড়ায় রেকর্ড। পরের দুই বলে আসে ছক্কা ও চার। প্রথম ওয়ানডেতে খেলা নিজের আগের সেরা অপরাজিত ১২৬ ছাড়িয়ে গেলেন এই তরুণ।
৩৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৫/০। ১৪৪ লিটন ও তামিম ৯৭ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুর জুটিতে বাংলাদেশের দুইশ
খেলা শুরু হওয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। দুই ব্যাটসম্যান দেশকে উপহার দিয়েছেন, ওপেনিংয়ে প্রথম দুইশ রানের জুটি।
ওয়ানডেতে সব উইকেট মিলিয়ে বাংলাদেশের এটি কেবল চতুর্থ দুইশ রানের জুটি।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০৫/০। তামিম ৮৮ ও লিটন ১১৪ রানে ব্যাট করছেন।
৪৩ ওভারের ম্যাচ, খেলা শুরু পৌনে সাতটায়
আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেছে ৭ ওভার। বাংলাদেশ আর ৯ ওভার ৪ বল ব্যাট করার সুযোগ পাবে। পৌনে সাতটায় শুরু হবে খেলা।
সোয়া ছয়টায় পর্যবেক্ষণ
বৃষ্টি থেমেছে সিলেটে। সরানো হচ্ছে কাভার। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে খেলা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় মাঠের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন আম্পায়াররা।
সিলেটে বৃষ্টির রাজত্ব
মাঝে একটু সময়ের জন্য থেমেছিল। কাভার সরানোর আগেই আবার বৃষ্টি নেমেছে সিলেটে। ধীরে ধীরে কমছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নামার আশা। খেলা শুরু করার শেষ সময় রাত ৯টা ২১ মিনিট।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
লিটন দাসের সেঞ্চুরির পরপর বৃষ্টির বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। তামিম ইকবালের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটি বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে দৃঢ় ভিতের ওপর। দুই ব্যাটসম্যানকে থামানোর পথ পাচ্ছিল না জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি যেন তাদের জন্য স্বস্তিই হয়ে এলো।
৩৩.২ ওভারে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৮২/০। লিটন ১০২ ও তামিম ৭৯ রানে ব্যাট করছেন।
উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড, লিটনের সেঞ্চুরি
শন উইলিয়ামসনের ওভারে তামিম ইকবালের ছক্কায় উদ্বোধনী জুটিতে হলো রেকর্ড। জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে বাউন্ডারি মেরে লিটন দাস পেলেন ওয়ানডেতে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
ওয়ানডেতে শুরুর জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়েছিলেন শাহরিয়ান হোসেন ও মেহরাব হোসেন। ২১ বছর আগের সেই রান ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ও লিটন।
নান্দনিক ব্যাটিংয়ে সিরিজে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন। ১১৪ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ চার।
৩৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৮০/০। লিটন ১০১ ও তামিম ৭৮ রানে ব্যাট করছেন।
তামিম-লিটনের জুটিতে দেড়শ
প্রথম ম্যাচে থিতু হয়ে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। পরের ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়েছিলেন লিটন দাস। এবার ফিফটি ছুঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। শুরুর জুটিতে উপহার দিয়েছেন দেড়শ রান।
ওপেনিংয়ে ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম দেড়শ রানের জুটি। দেড়শ রানের উদ্বোধনী জুটিতে আরও দুইবার ছিলেন তামিম। লিটনের সঙ্গে এই প্রথম গড়লেন দেড়শ রানের জুটি।
৫২ বলে এসেছিল জুটির পঞ্চাশ, ১১০ বলে সেঞ্চুরি। দেড়শ হল ১৭৮ বলে।
৩০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫২/০। লিটন ৮৪ ও তামিম ৬৭ রানে ব্যাট করছেন।
তামিমেরও ফিফটি
লিটন দাসের পর ফিফটির দেখা পেলেন তামিম ইকবালও। বাঁহাতি এই ওপেনারের লেগেছে ৬০ বল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।
২২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১২১/০। তামিম ৫২ ও লিটন ৬৯ রানে ব্যাট করছেন।
উদ্বোধনী জুটির একশ
শেষ ম্যাচে এসে সিরিজে প্রথমবারের মতো শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেল বাংলাদেশ।
লিটন দাস ও তামিম ইকবালের জুটি একশ স্পর্শ করেছে ১১০ বলে। তাদের জুটি ৫২ বলে ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/০। লিটন ৬৩ বলে ৬০ ও তামিম ৫১ বলে ৪০ রানে ব্যাট করছেন।
দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে লিটনের ফিফটি
প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে সিরিজে আরেকবার পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন লিটন দাস।ডানহাতি ওপেনার ৫৪ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। এর পথে মেরেছেন ৭টি চার। ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ ফিফটি।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৬/০। লিটন ৫৪ বলে ৫০ ও তামিম ইকবাল ৪২ বলে ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৫৩/০
শুরুটা ছিল সাবধানী। লিটন দাস নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। সে সময় রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। পরে লিটনও শট খেলতে শুরু করায় বেড়েছে রানের গতি।
পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান করেছে বাংলাদেশ। লিটন ৩২ ও তামিম ২১ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ৫ ওভারে ২০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ, পরের ৫ ওভারে এসেছে ৩৩ রান।
শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ
সাবধানী শুরুর পর শট খেলতে শুরু করেছেন লিটন দাস। তামিম ইকবাল খেলে যাচ্ছেন আস্থার সঙ্গে। ৫২ বলে এসেছে শুরুর জুটির পঞ্চাশ।
লিটন রানের দেখা পান দশম বলে। এরপর থেকে দ্রুত রান তুলছেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করছেন তামিম।
৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫০/০। লিটন ৫ চারে ৩০ বলে করেছেন ৩০। তামিম ২৪ বলে তিন চারে করেছেন ২০।
বাংলাদেশের সাবধানী শুরু
উইকেটে একটু বাড়তি বাউন্স আছে। সকাল থেকে মেঘে ঢাকা আকাশ। একটু সহায়তা পাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা। ইনিংসের শুরুতে সাবধানী বাংলাদেশ।
৫ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর ২০/০। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী। ১৭ বলে খেলছেন ১৫ রান নিয়ে। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস একটু বেশি সতর্ক। দশম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খুলেন রানের খাতা। ১৫ বলে ব্যাট করছেন ৫ রান নিয়ে।
অপরিবর্তিত জিম্বাবুয়ে দল
চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেননি চামু চিবাবা। তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শন উইলিয়ামস। অসুস্থতার জন্য মাঠের বাইরেই আছেন ক্রেইগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে: শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), টিনাশে কামুনহুকামউই, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে, রেজিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুমবামি, টিনোটেন্ডা মাটুমবোদজি, ডনাল্ড টিরিপানো, কার্ল মুম্বা, চার্লটন সুমা।
নাঈম-আফিফের অভিষেক, বাদ মুশফিক
বাংলাদেশ দলে এসেছে চার পরিবর্তন। বিতর্কিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান ফেরায় বাদ পড়েছেন আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন। বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেনও। অভিষেক হচ্ছে আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে
অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে টস হারলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগের দুই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুক্রবার এক ঘণ্টা পরে ম্যাচ শুরু হওয়ায় শিশির আরও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস টসের সময় অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফিকে।
অধিনায়ক মাশরাফির শেষ
যে দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছিল নেতৃত্ব সেই দলের বিপক্ষেই ইতি টানছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে দিয়ে শেষ হচ্ছে তার অধিনায়কত্ব। এই ম্যাচে দারুণ এক অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। শেষ ম্যাচ জিতলেই অধিনায়ক হিসেবে জয়ের ফিফটি হবে তার।