স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর বাসিন্দা এক প্রবাসীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে ছয় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এই প্রতারকরা তাদের দলের সদস্য ফাতেমা বেগমকে আমেরিকান কন্যা সাজিয়ে ওই প্রবাসীর সাথে ভয়ংকর প্রতারণা করে। পরে প্রবাসী দেশে ফিরে তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে স্থানীয় শালিস ব্যক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন। স্থানীয়দের কাছ থেকে কোন বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে এসএমপির জালালবাদ থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, জালাবাদ থানার কুমারগাঁওয়ের বাসিন্ধা মৃত নূরুউদ্দিনের ছেলে জিল্লুর রহমান, একই এলাকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আফিয়া বেগম, হাসান মিয়া, ফাতেমা বেগম ও বিয়ানীবাজার উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্ধা আলা উদ্দিন খান লিটন, বর্তমানে হাজী আজিম উল্লাহ রোডে বাসিন্ধা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী প্রবাসে যাওয়ার আগে প্রতারক চক্রের সদস্য লিটনের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তিনি প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে লিটন মিয়ার সাথে প্রায়ই মোবাইলে যোগাযোগ করতেন। যোগাযোগের এক পর্যয়ে লিটন বলেন, আমার কাছে একটি আমেরিকান কন্যা আছে, চাইলে তাকে বিয়ে করতে পারবে। লিটনের এমন প্রস্তাবে তিনি রাজি হয়ে কন্যার মামা প্রতারক জিল্লুর রহমানের সাথে লিটনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তারা তাদের প্রতারক চক্রের সদস্য ফাতেমা কন্যা সাজিয়ে ছবি দেখান। এমনকি প্রতারক জিল্লুর রহমান বলেন, ফাতেমা এখন আমেরিকা আছে। সে দেশে আসার পর বিয়ে হবে। পরে ওই প্রবাসী তিনি দেশে আসার পর ফাতেমার সাথে মোবাইলে কথা বলেন। ফাতেমা নিজেকে আমেরিকান প্রবাসী হিসাবে দাবি করেন। তিনি সরল বিশ্বাসে তাদের কথামতো টাকা পয়সা’সহ স্বর্ণালংকার দিয়ে থাকেন। ওই প্রবাসীর কাছ থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে ওই প্রতারক চক্রটি ছয় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সর্বশেষ প্রতারকদের কথা অনুযায়ী তিনি গত এক ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্য দেশে আসেন। এরপর তিনি জানতে পারেন সব কিছু প্রতারণা। এরা একটি প্রতারক চক্র।
এরা এভাবে প্রতারণা করে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই প্রতারক চক্রের সদস্যের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান ওই প্রবাসী। বর্তমানে এসএমপির জালাবাদ থানার এসআই দয়াময় দাস মামলাটি তদন্ত করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামি আটক হয়নি।