রোববার (১ মার্চ) সকালে শপথ নিয়েছেন তিনি। শনিবার মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী এই নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ।
এর আগে মাহাথিরের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মুহিদ্দীন ইয়াসিন। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করতে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের দল পিকেআরের ১১ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মুহিদ্দীনের নাম এর আগেই ঘোষণা করেছিল মাহাথিরের দল মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড আদিবাসী পার্টি (বারসাতু)।
এদিকে, পদত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার মাহাথির এক ঘোষণায় জানান, যথেষ্ট সমর্থন পেলে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরতে রাজি আছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাহাথির জানিয়েছিলেন যে, তিনি দু’বছর পরই ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। সে অনুযায়ীই গত সোমবার পদত্যাগ করেন তিনি।
তবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় মাহাথিরের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার জোটসঙ্গী আনোয়ার ইব্রাহিম। এর আগে জোটের পক্ষ থেকে ইব্রাহিমকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়। শুক্রবার পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ আরিফ ইউসুফও মাহাথিরের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন। আর মাহাথিরের নিজের দল বারসাতুর চেয়ারম্যান মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
ফলে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুহিদ্দীন ইয়াসিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে পার্লামেন্টের ২২২ এমপির সাক্ষাৎকার নেন। বিগত দুই দশক ধরেই ক্ষমতার লড়াইয়ে মুখোমুখি ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহীম।
মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে মালয়েশিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল আনোয়ার ইব্রাহিমের। কিছুদিন ক্ষমতায় থেকে আনোয়ার ইব্রাহীমের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে পারেননি মাহাথির।