শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
দেশটির আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কমিশন জানাচ্ছে, চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশে নতুন করে আরও কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসটি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে।
এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭৩ জনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে শুক্রবার মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৬৩৬ জনে। যার মধ্যে ৬৪ জন প্রদেশটির শহর উহানের। যেখান থেকে করোনা ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
চীনের বাইরেও বেড়ে চলেছে এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে জাপানের একটি বন্দরে নোঙর করা প্রমোদতরীতে আরও ৪১ জন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে। এর আগে জাহাজটিতে ১০ জনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
চীনসহ বিশ্বের ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন হংকং ও ফিলিপাইনের দুই নাগরিক।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচের নেতৃত্বে একটি বহুজাতিক প্রতিনিধি দল ‘খুব শিগগিরই’ চীনে যাচ্ছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ও আক্রান্ত দেশগুলোকে সহায়তার জন্যে ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ তহবিল ঘটনের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস।