সিলেট::চীনে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সিলেটে বেড়ে চলেছে মাস্কের ব্যবহার। এ সুযোগে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও ফার্মেসি মালিকরা।
মূলত করোনাভাইরাসের খবরে মানুষ সচেতনতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে। এর সুযোগ কাজে লাগাতে কিছু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি অনৈতিক কাজ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চীনের নভেল করোনাভাইরাসের খবরে মানুষের মাঝে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এ সুযোগে সংকটের অজুহাতে মাউথ মাস্ক, অ্যান্টি ডাস্ট মাস্কের (সার্জিক্যাল মাস্ক) দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। রাস্তায়, ফুটপাতে, বিভিন্ন অনলাইন শপে মাস্ক বিক্রি হলেও ফার্মেসিগুলোতে মাস্কের সংকটের কথা বলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়েও মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের আকার ১৩৫ ন্যানো, যা ভালোমানের মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। এ কারণে বাংলাদেশেও বেড়েছে এর চাহিদা।
গতকাল সিলেট জেলা বারের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজলের একটি ভিডিওতে দেখা যায় সিলেটের লামাবাজারের এস. এ সায়েন্টিফিক স্টোরস সার্জিক্যালেরে দোকানে ১৫০ টাকা দামের মাস্কের প্যাকেট দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। যেখানে প্রতি প্যাকেটে ৫০ টি মাস্ক থাকে। এতে করে প্রতিটি মাস্কের দাম পড়ছে ৮ টাকা।
ক্রেতারা জানান, করোনা ভাইরাসের ভয়ে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে। আর সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।