ছাতক :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের সৈয়দগাঁও ইউনিয়নের বিলপার গ্রামে মসজিদের নামে সরকারি জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিলপার গ্রাম অশান্ত হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের সৈয়দগাঁও ইউনিয়নের বিলপার গ্রামের রাধানগর মৌজার ৪০৬ নম্বর জেল এল এক নম্বর খতিয়ানে ২ হাজার ২১২ নম্বর দাগে সরকারি খাস গোপাট জমি রয়েছে। ওই জমির আশপাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফসলি জমি, বসতবাড়ি আর পানি রয়েছে।
সেখানে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র।
এ অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণের কাজে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে সেই চক্রটি হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, খাল দখলে জড়িত জানিয়ে বিলপার গ্রামের আবু তাহের, জসিম উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আব্দুল মতিন, ফিরোজ আলী, সিতাবুর রহমান, দুদু মিয়া ও রজব আলীসহ ৮ জনের নামে গত ২১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলাপ্রশাসক ও উপজেলার নিবার্হী কর্মকতার কাছে অভিযোগ দায়ের করে গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা আজম আলী।
জেলা প্রশাসক অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত ও রেকর্ড পযালোচনা করে তহসিলদারকে ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দেন।
তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৩ জানুয়ারি বিকালে ওই অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও পাকা স্থাপনের কাজ শুরু করে সেই প্রভাবশালী চক্র।
এ ব্যাপারে জাহিদপুর ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা প্রদীপ রঞ্জন দেব জানান, অভিযোগ প্রাপ্তির পর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু খাল দখলদাররা উপজেলা কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ মানছেন না।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনিয়া সুলতানা জানান, খাল দখলের অভিযোগটি তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।